বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস। বেগম মুজিব যদি বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য না করতেন, অনুপ্রেরণা না দিতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এত ত্যাগ স্বীকার করা সম্ভব ছিল না।
আজ সোমবার জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির আয়োজনে আলোচনায় সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
‘বাঙালির গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপকমিটির চেয়ারম্যান খন্দকার বজলুর রহমান। সদস্যসচিব এবং আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, ইতিহাসবিদ ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বেগম মুজিব আওয়ামী লীগের নেতাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘তিনি একহাতে সব সামলেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সংসার চালিয়েছেন, সন্তানদের লেখাপড়া করিয়েছেন। শুধু ঘরের কাজ করেই ক্ষান্ত হননি বরং রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দলের নেতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের নেপথ্যে ঘটনা বর্ণনা করে হানিফ বলেন, ‘দুপুরে জনসভায় যাওয়ার আগে বেগম মুজিব সে সময় তাঁকে বলেছিলেন, পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। গোটা জাতি তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমার যেটা ভালো মনে হয় সেটা করো, যেটা ভালো বোঝো সেরকম করবে। অন্যের পরামর্শের দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা লাভের পেছনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বেগম মুজিবের ঐতিহাসিক ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল মহীয়সী নারী বেগম মুজিবের। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। পঁচাত্তরের কাল রাত্রিতে যখন ঘাতকেরা গুলিবর্ষণ করেছিল তিনি স্বামীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি প্রাণভিক্ষা চাননি।’