ঢাবি প্রতিনিধি
জ্বালানি তেলের দাম ও বাসভাড়া কমানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে আটটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন। পরে পুলিশের অনুরোধে অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত করে তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় সংগঠনগুলো। এর আগে বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেয় সংগঠনগুলো।
এ সময় শাহবাগ থানা-পুলিশ আন্দোলনকারীদের জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত করতে অনুরোধ জানায়। বেলা পৌনে ১টায় অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান আন্দোলনকারীরা।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি) সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বর্তমান বাংলাদেশে তেলের রাজনীতি চলে। যাঁরা গত বারো বছর ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা ক্ষমতাকে প্রশ্ন করছেন না, তেলবাজি করছেন। আজকের সরকার, সিন্ডিকেট, পরিবহনমালিকেরা তেলের রাজনীতিতে জিতে যান। আর হেরে যায় অসহায় সাধারণ জনগণ। আজকে আমরা যেই দাবি নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি তা শুধু আমাদের দাবি নয়, বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের দাবি। এটি চোর-বাটপারদের দাবি নয়, কারণ তেল-গ্যাস-বাসভাড়া বৃদ্ধি পেলে তাঁদের কোনো ক্ষতি নেই। কারণ, তাঁরা এর মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভারী করছে।’
গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে এই দেশের ছাত্র-তরুণদের এই দেশ রক্ষা করতে হবে, এই মূল্য বৃদ্ধিকে রুখে দিতে হবে, এক টাকাও বাড়তি ভাড়া জনগণ দেবে না। জ্বালানি তেলে ও বাসভাড়া না কমানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা যখন সাধারণ মানুষের জন্য আন্দোলন করছি তখন পুলিশ বারবার আমাদের সরে যেতে বলেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থাকবে তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
এই বক্তব্যের পর গোলাম মোস্তফা অবস্থান কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈন উদ্দিন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ।