বিভিন্ন দেশে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ করা। তবুও তারা কিছুই করতে পারে না। আর এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ সোমবার বিকেলে ‘সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ’ শীর্ষক মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকার হাফিজ কমপ্লেক্সে মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নালিশ পার্টি, তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। কিছু মানুষ তাদের নালিশ বিশ্বাস করলেও বিদেশি দেশগুলো বিশ্বাস করে না। তাদের এ নালিশে বাংলাদেশ সরকার বিচলিত নয়।
আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ আছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, রিজার্ভ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দরিদ্রের হার ৪২ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আমরা আশাবাদী, অচিরেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্ত হবে।’
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৭ জানুয়ারি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে উন্নয়নের পক্ষে ভোট প্রদানের আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন আগামী নির্বাচনের পরে সিলেটের রেল লাইনের উন্নয়নকাজ শুরু হবে। সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে ১ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের জন্য শেড নির্মাণে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল পাস হয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার প্রশংসা করেন এবং প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকারের গত পাঁচ বছরের মেয়াদে সিলেটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে সিলেটের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ী মহল উপকৃত হয়েছেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী মেয়াদেও নির্বাচিত হয়ে বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। তিনি সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মো. ফয়সালের সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাতসমূহ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র এবং সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ১৬টি প্রস্তাব লিখিতভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।