টাকা পাচারকারীরা সরকারের এবং সরকারি দলের লোক। যেকারণে সরকার তাদের বিষয়ে সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য চাচ্ছে না-এমন অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করে বলেন, ‘তথ্য চাইলেই সুইস ব্যাংক তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পাচারকারীদের তথ্য চাচ্ছে না। কারণ, যারা টাকা পাচার করেছে তারা সরকারে এবং সরকারি দলের লোক। তারা (সরকার) যেন পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত না হয় সে জন্যই পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করছে না সরকার।’
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করে সরকারকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে সরকার তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা করে কিন্তু মানুষের কষ্ট বোঝে না, সেই সরকার জনগণের সরকার না। গণবিরোধী সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না।’
জি এম কাদের বলেন, ‘সরকার বিভিন্নভাবে মুনাফা করে, উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে লুণ্ঠন করছে। সরকার মুনাফার টাকা ব্যাংকে রাখছে, নামে-বেনামে সেই টাকা ঋণ করে বিদেশে পাচার করছে একটি শ্রেণি। প্রজাতন্ত্রের নামে দেশে এক ব্যক্তির শাসন তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রের নামে দেশে স্বৈরশাসন চলছে। উন্নয়নের নামে দেশে ঘুষ ও দুর্নীতির জোয়ার বইছে।’
‘দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে’ এমন মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, রাজনীতি চিরতরে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে। রাজনীতিতে প্রতিযোগিতার বিপরীতে প্রতিহিংসা শুরু হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যারা পরাজিত হবে তারা যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে আওয়ামী লীগের নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এমন রাজনীতি চাই না। আমরা চাই সহনশীল পরিবেশে রাজনীতি।
এ সময় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ারও আক্ষেপ করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সংসদে আমরা কথা বললে কাজ হয় না। আমাদের পরামর্শ, কথার কথা হয়ে গেছে।’