রাজশাহী ও কুমিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেননি আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। এতে করে ইতিমধ্যে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনে জয় নিশ্চিত হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের। আর কুমিল্লায় জয়ের পথে আছেন তাঁরা।
রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত ২১ জন প্রার্থীর সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কাসেম এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জমসেদ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ জাহাঙ্গীর আলম সেলিম এই ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ২১ জন প্রার্থীর সবাই বিজয়ী হয়েছেন। তিন দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করা হবে।
কুমিল্লায় জয়ের পথে
আগামী ৬ মার্চ কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। গত বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল। যাচাই-বাছাইয়ের সময় দেখা যায় ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তাঁরা বিজয়ী হতে যাচ্ছেন। ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি, সহসভাপতি দুজনসহ জামায়াতপন্থী প্রার্থী রয়েছেন ৭ জন। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক পদ দুজনসহ ৮টি পদে বিএনপি-সমর্থিতরা রয়েছেন। আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে জয়ের পথে রয়েছেন শহিদুল্লাহ। আর সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন খন্দকার মিজানুর রহমান। কুমিলা সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মফিজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে কুমিল্লার আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ও বর্তমান সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে আমি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগপন্থী ৩২ আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। এ কারণে আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল।’ এ কারণে নির্বাচন বর্জন করেছেন তাঁরা।