বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য। কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকার নিজ বাসভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চীন অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী একটি দেশ এবং অর্থনীতির দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বিনিয়োগও অনেক বেশি। চীন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করবে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকার গঠিত হয়েছে। তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সংস্কার কর্মসূচি সামনে এনেছে এবং সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা কমিশনের প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করেছি ও আমাদের মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যতে তারা আমাদের সঙ্গে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ উদ্যাপন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছে ছিল এবার ঈদ ঠাকুরগাঁওয়ে করার। অসুস্থতার কারণে আজ এসেছি, কাল ঢাকায় ফিরে যাব। ৬ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছি।’
এর আগে ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর বাসভবনে ভিড় জমান। প্রিয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বেলা ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল সবার সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় তিনি মানুষের সুখ-দুঃখের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রিয় নেতার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পেরে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত।’
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেই মহাসচিব আজ নিজ এলাকায় ফিরেছেন। তিনি আগামীকাল বুধবার সৈয়দপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।’