হোম > রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিজেই রাজনীতিতে ফেরার জন্য কোনো পদক্ষেপই নেয়নি: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সাড়ে সাত মাসে আওয়ামী লীগ সাড়ে সাত সেন্টিমিটারও অগ্রগতি করতে পারেনি। নতুন রাজনীতির বয়ান দিতে পারে নাই, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি, জনগণ আবার তাদের প্রতি সিমপ্যাথি দিতে পারে এ রকম কোনো বক্তব্য দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আবার ফিরে এসে রাজনীতি নিয়ে জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারবে, সহসা এই সম্ভাবনাই দেখি না।’

মান্না বলেন, ‘আমার দুঃখটা হচ্ছে, এই আওয়ামী লীগ নিজেই আবার রাজনীতিতে ফিরে আসবার জন্য কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আমরা কেউ কেউ, যাঁরা খুব গুরুত্বপূর্ণ লোকজন, ঝগড়া করে ফোকাস করে তাদের সবার সামনে নিয়ে আসছি।’

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মান্না।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে মান্না বলেন, ‘আমি সরাসরি কোনো বক্তব্য দিইনি। বলেছি যে, একটা দলকে যে নিষিদ্ধ করা যাবে না, এ রকম দলের এ পৃথিবীতে ভালো উদাহরণ আছে। আওয়ামী লীগ এত বড় কী অপরাধ করেছে? আমি মনে করি করেছে। কিন্তু আমি তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করছি না। কারণ ওটা একটা পলিটিক্যাল প্রস্তাব। ওটার ইমপ্লিমেন্টেশন বৈধ সব দিক থেকে। তবে আমি যা দেখছি তা হচ্ছে সরকার, বিশেষ করে সরকার প্রধান যেরকম করে বলছেন, তিনি জনগণকে আহ্বান জানাবেন, বোঝাবেন। সিদ্ধান্তটা জনগণই নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি তাদের (আওয়ামী লীগের) নামে যত অপরাধ আছে তার বিচার দ্রুত করা উচিত। সাড়ে সাত মাসে বিচারকাজ এখনো শুরুই হয়নি। ঠিক হতে পারছে না। এটা বেদনার। যদি রেগুলার বিচারগুলোও শুরু হতো তাহলেও আমি মনে করি, অনেক প্রশ্নের জবাব আপনা-আপনিই আসত।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদের। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যারা প্রায় ৭৫০টি সুপারিশ উত্থাপন করেছে। পরবর্তীতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এসব সুপারিশ পর্যালোচনা করে ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের জন্য উত্থাপন করে।

তিনি উল্লেখ করেন, নাগরিক ঐক্য প্রস্তাবগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে মতামত দিয়েছে। ১০৪টি সুপারিশের প্রতি একমত, ৫১টি সুপারিশের প্রতি অসম্মতি এবং ১১টি সুপারিশের প্রতি আংশিক সম্মতি জানানো হয়েছে। আমাদের মতে, ৯৩টি সংস্কার নির্বাচনের আগেই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব এবং ২২টি সংস্কার নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।

সভায় বলা হয়, সংস্কারের নামে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেমন—দেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ বিধান ও পদ্ধতি ইত্যাদি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোমিনুল ইসলাম, জিন্নুর চৌধুরী দীপু, মোফাখখারুল ইসলাম নবাব প্রমুখ।

নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জামায়াত আমির

কুয়েটে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান ছাত্রদলের

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

কুয়েট শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি একাধিক ছাত্রসংগঠনের

আওয়ামী লীগ প্রশ্নে আপস করলে ‘শিষ্টাচার-বহির্ভূত আচরণ’ করবেন হাসনাত

সয়াবিন তেল ও শিল্প গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জামায়াতের

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বুধবার

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাই সর্বপ্রথম সংস্কার: ববি হাজ্জাজ

একটি বিশেষ দলকে সুবিধা দিতে জেলা-উপজেলায় নাগরিক কমিটির সুপারিশ: ববি হাজ্জাজ