আওয়ামী লীগের ডাকা বিক্ষোভ মিছিলকে প্রতিহত করতে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে খণ্ডখণ্ড মিছিল করছে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকাল থেকে এসব মিছিল শুরু করে তারা। তবে নগরীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বেলা ৩টায় এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে কর্মসূচিকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার।
এ দিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সেনাবাহিনী ও পুলিশ কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করবে না, আন্তর্জাতিকভাবে তাঁরা এমনিতেই অনেক চাপে আছে। সবাই নির্ভয়ে আসুন।’
এ দিন কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দখলদার, অসাংবিধানিক, অবৈধ ইউনূস সরকারকের হাত থেকে গণতান্ত্রিক, স্বাভাবিক মূল্যবোধ ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে ১০ নভেম্বরের কর্মসূচিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। দুঃশাসন, নিপীড়নে দিন পার করছে মানুষ। গণতন্ত্র ফিরে এলে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে দেশ ও দেশের মানুষ পরিত্রাণ পাবে।’
অন্যদিকে জিরো পয়েন্টে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের জড়ো হতে দেওয়া হবে না বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লেখেন, আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে কোনো প্রতিবাদ করার অনুমতি দেওয়া হবে না তাদের।
তিনি বলেন, যারা গণহত্যাকারী ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে র্যালি, জমায়েত বা মিছিল করার চেষ্টা করবে, তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গ করার কোনো প্রচেষ্টাকে সহ্য করবে না।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আওয়ামী লীগ সমাবেশ বা গণজমায়েত করার জন্য এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো ধরনের অনুমতি চায়নি। অনুমতির বাইরে যে কোনো দল বেআইনিভাবে সমাবেশ করলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।