নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইচ্ছা সাকিব গত বছর প্রকাশ করেছিলেন। সাকিব আইসিসির ইভেন্টটিতে থাকবেন কি না, সেটা নিয়ে আলোচনাও চলছিল কিছুদিন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার জায়গাই পাননি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে।
২০২৪ সাল থেকেই সাকিবের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছরের আগস্টের পর থেকে তিনি অনিয়মিত। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলতে গিয়ে তাঁর বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়, চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্স-দু্ই জায়গাতে বোলিং শোধরানোর পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারেননি সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে সেটা নিশ্চিত করেছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে আজ যখন সাকিবের জায়গা হলো না, তখন লিপুও তাঁর (সাকিব) বোলিং অ্যাকশনে ফেল করার কথা উল্লেখ করেছেন। বিসিবি নির্বাচক বলেন,‘আপনারা সবাই জানেন, সাকিব তাঁর বৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যায় আছেন সেটার থেকে উত্তরণের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পরীক্ষার ফল বাজে হওয়ার কারণে তিনি ক্রিকেটে একজন ব্যাটার হিসেবেই খেলতে পারবেন। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমার কাছে সাকিবের অবস্থান ছিল ব্যাটার সাকিব এবং আমাদের এই দলে আসলে দলের কম্বিনেশন সাজাতে গিয়ে ব্যাটার হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা দিতে পারিনি।’
সাকিব চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ সদস্যের দলে জায়গা না পাওয়ার প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কথাও উল্লেখ করেছেন লিপু। বিসিবি প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘বোর্ড সভাপতি বলেছেন কেউ অবসর না নিলে বিবেচনায় থাকবেন। বোলিং অ্যাকশনের পর আমরা দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আমাদের পরিকল্পনায় সাকিব না থাকার কারণেই এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি। একজন লিজেন্ডারি ক্রিকেটারকে কেন দলে রাখা হয়নি, এটা সরাসরি আলোচনা করা ভালো না।’
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে ৩৫ বছরের ওপরে ক্রিকেটার হলেন মুশফিকুর রহিম (৩৭) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৮)। তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন-২০২০ অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপজয়ী দল থেকে আছেন এই চার ক্রিকেটার। তারুণ্য নির্ভর দল প্রসঙ্গে লিপু বলেন, ‘২৫ বছরের এক তরুণ যতটা ফিট থাকে, ৩৫ বা ৩৭ বছরের ক্রিকেটার ফিটনেসের জায়গায়... সবারটা বলব না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সেটা ধরে রাখা কঠিন হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রিফ্লেক্স কমে যায়। গতি কমে যায়। শুধু ব্যাটার না, বোলারদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়।’
আরও পড়ুন: