সুদূর ইংল্যান্ড থেকে গত রাতেই বাংলাদেশের বিমান ধরেন হামজা চৌধুরী। আজ যখন তিনি সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে নামলেন, তখন আনন্দ-উৎসব বহুগুণে বেড়ে গেল। সিলেটের বিমানবন্দরে হামজার জন্যই ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করেন সকাল থেকে। বিমানবন্দরে নামা মাত্রই তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের বাহুবলে স্নানঘাটে আজ সন্ধ্যায় ইফতারের পর হামজার তাঁর সেই বাড়ির উঠোনে হয়ে গেল আগত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। জনাকীর্ণ পরিবেশে সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে অনেক প্রশ্নই করা হয়েছে। কত নম্বর জার্সি পরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান, সেই প্রশ্নের উত্তরে হামজা ৮ নম্বর জার্সির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
হামজা বাংলাদেশের জার্সিতে ৮ নম্বর জার্সি পরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার গায়ে সেই লাল-সবুজ জার্সি নাম্বারটা কত হতে পারে, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
লেস্টার সিটিতে থাকতে তিনি খেলতেন ২০ ও ৩৮ নম্বর জার্সি পরে। লেস্টার থেকে এখন ধারে আসা শেফিল্ড ইউনাইটেডে ২৪ নম্বর জার্সি পরে খেলেন ২৭ বছর বয়সী মিড ফিল্ডার।
হামজার গ্রামের বাড়ি আসা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার মা-বাবার সঙ্গে গ্রামে এসেছেন। তবে এবার আসছেন প্রায় ১১ বছর পর। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, গ্রামের বাড়িতে এক দিন থাকবেন হামজা। কাল ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। আর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে ২০ মার্চ দলের সঙ্গে শিলংয়ে যাওয়ার কথা হামজার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার কথা হামজার।
ভারতকে এবার হারানোর ঘোষণা দিয়েছেন হামজা। সকালে সিলেটে পৌঁছেই বলেছেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আমরা উইন খরমু।’ আর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া নিয়ে ভাবছি না। আমরা খালি আমরার কথা ভাবছি। দেখা হইবনে...।’