ক্রীড়া ডেস্ক
৪২ বলে ৫৫ রান প্রয়োজন, হাতে আছে ৭ উইকেট। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এ রান তোলা অনেকটা মামুলি ব্যাপারই। দলটা যখন দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ব্যাপার কিছুটা ভিন্নও হয়। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও জিততে জিততে হেরেছিল তারা। ঠিক একইভাবে এবার প্রোটিয়ারা হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
ত্রিনিদাদে উইন্ডিজের দেওয়া ১৮০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ২০ রানে তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট। ৩০ রানে জিতে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকেরা।
ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। উদ্বোধনী জুটিতে ক্যারিবিয়ানদের ভালো শুরু এনে দেন আলিক আথানেজ ও শাই হোপ। ৪১ রান যোগ করেন দুজনে। দুটি করে চার-ছক্কায় ২৮ রান করা আথানেজকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন লিজাড উইলিয়ামস।
দ্বিতীয় উইকেটে ১৮ বলে ৪২ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েন হোপ ও নিকোলাস পুরান। শুরুতে দখেশুনে খেলে ১৪ রান ১৪ করেছিলেন হোপ, এরপরই ওয়ে ওঠেন বিধ্বংসী। চার ছক্কা ও দুটি চারে ২২ বলে ৪১ করে বিদায় নেন তিনি। আউট হয়েছেন ১৯ বলে ১৯ রান করে।
পরে অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের তিন ছক্কায় ২২ বলে ৩৫, শেরফানে রাদারফোর্ডের ১৮ বলে ২৯ রানের সৌজন্যে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান স্কোরে জমা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার লিজাড উইলিয়ামস ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকার রান তাড়ার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ৪.২ ওভারেই ৬৩ তোলেন দুই ওপেনার রিজা হেনড্রিকস ও রায়ান রিকেল্টন। পঞ্চম ওভারে রিকেল্টনকে ১৩ বলে ২০ রানে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন শামার জোসেফ। পরের ওভারে হেনড্রিকসের ঝড় থামান রোমারিও শেফার্ড। ৬ ছক্কা ও ২ চারে ১৮ বলে ৪৪ রান করেছেন হেনড্রিকস।
অধিনায়ক মার্করাম তিনে নেমে ৯ বলে করেন ১৯ রান। ২৪ বলে ২৮ রান আসে ত্রিস্তান স্টাবসের ব্যাট থেকে। তারপর তাসে ঘরের মতো ধসে পড়ে তাদের ব্যাটিং অর্ডার। ১৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা শেফার্ড। তিন ম্যাচে সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী বুধবার ত্রিনিদাদেই হবে।
আরও খবর পড়ুন: