ওয়ানডে না খেলেও আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার বাবর আজম। পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেটের অধিনায়ক বাবরের কাছে এর চেয়ে খুশির খবর আর কী হতে পারে! তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী জিনিসটার মধ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ খুঁজে পেয়েছেন।
আইসিসি সবশেষ র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে চলতি সপ্তাহের বুধবার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৮২৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার বাবর। অথচ পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার ওয়ানডেতে সবশেষ খেলেছেন গত বছরের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে। আইসিসির র্যাঙ্কিং দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন বাসিত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে গতকাল পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘আইসিসি হচ্ছে বাবরের শত্রু। বাবরকে জিজ্ঞাসা করলে সেও এখন ওয়ানডের ১ নম্বর হিসেবে অন্য কারও নাম বলবে। সেখানে বিরাট কোহলি অথবা ট্রাভিস হেডের নাম থাকবে। নিজের নাম কখনোই বলবে না। বাবর যেন পারফর্ম না করে, সেটাই আইসিসি চাইছে বলে আমার ধারণা। সে (বাবর) ওয়ানডেতে ১ নম্বর হয়েই খুশি থাকুক।’
বাবরের পর ৭৬৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে এখন রোহিত শর্মা। রোহিতের পর তিনে ও চারে শুবমান গিল ও বিরাট কোহলি। যেখানে সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে রোহিত দুর্দান্ত খেললেও কোহলি ও গিল নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। আইসিসির র্যাঙ্কিংটা বাসিতের কাছে মনে হচ্ছে কৌতুকপূর্ণ। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘যখন আমি আইসিসির ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিং দেখলাম, বাবর আজম আছে শীর্ষে। দুইয়ে রোহিত শর্মা, তিনে শুবমান গিল এবং এরপর চারে বিরাট কোহলি। পরের নামগুলো পড়ার ইচ্ছা হয়নি আমার। কারণ ট্রাভিস হেড ও রাচিন রবীন্দ্রকে সেখানে দেখা যায়নি। বাবর আজম ও শুবমান গিল কীভাবে এখানে আসে!’
বাসিতের কথামতো অবশ্য আইসিসি র্যাঙ্কিং কাজ করে না। মূলত এটা (আইসিসি র্যাঙ্কিং) যেকোনো ক্রিকেটারের সমন্বিত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। তার মানে, পূর্বের পারফরম্যান্সের চেয়ে উন্নতি নাকি অবনতি হচ্ছে, সেটা অনুযায়ী রেটিং পয়েন্ট দিয়ে সেই ক্রিকেটারের র্যাঙ্কিংয়ে স্থান নির্ধারিত হয়।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাবরের নেতৃত্বে পাকিস্তান সেমিফাইনালেও খেলতে পারেনি। ভারতে অনুষ্ঠিত আইসিসি ইভেন্টেও আশানুরূপ পারফর্ম ছিল না তাঁর। পরিপ্রেক্ষিতে তৎক্ষণাৎ তিন সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়েন বাবর। এরপর এ বছরের মার্চে আবার বাবরকে সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর নেতৃত্বে এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেননি।