ক্রীড়া ডেস্ক
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কামরান আকমল। বাবর আজমের পরেই তাঁর স্থান।
তবে ছক্কা, সেঞ্চুরি, দলীয় সাফল্যে কামরানের ধারেকাছেও নেই বাবর। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি ছক্কা মেরেছেন আকমল ভাইদের বড়জন। তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার ছুঁয়েছেন সর্বাধিক তিনবার। একবার শিরোপা জয়ের পাশাপাশি রানার্সআপ হয়েছে তিনবার। সেই কামরানকেই কি না এভাবে অসম্মান!
পিএসএলের শুরু থেকেই পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছেন কামরান। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার ছিলেন এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটেও। কিন্তু ক্যাটাগরিতে অবনমন হতে হতে প্লাটিনাম থেকে সিলভারে নেমে যাওয়ায় এবারের আসরে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আত্মসম্মানের কথা ভেবেই নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
অথচ আকমল পরিবারের জন্য বিশেষ পিএসএল এবারেরটি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দল পেয়েছেন কামরানের ছোট ভাই উমর আকমল। তবে কামরান যথাযথ সম্মান না পাওয়ায় তা আর হলো না।
পিএসএলের সপ্তম আসর শুরু আগামী ২৭ জানুয়ারি। তার আগে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্লাটিনাম থেকে নামিয়ে গোল্ড ক্যাটাগরিতে রাখা হয় কামরানের নাম। পেশোয়ার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ায় প্লেয়ার্স ড্রাফটেই যেতে হয় তাকে। যেখানে গোল্ড ক্যাটাগরি দূরে থাক, সিলভার ক্যাটাগরির একদম শেষ ডাকে গিয়ে কামরানকে ফের দলে নেয় পেশোয়ার।
কামরান মনে করছেন, এভাবে দল পাওয়ায় আত্মসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে তাঁর। যে কারণে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কামরান লিখেছেন, ‘গত ৬ মৌসুম আমার যাত্রা দারুণ ছিল। যেকোনো পরিস্থিতিতে সমর্থন দেওয়ায় আকরাম ভাই (পরিচালক), জাভেদ আফ্রিদি (কর্ণধার), ড্যারেন স্যামি (প্রধান কোচ), ওয়াহাবদের (অধিনায়ক) ধন্যবাদ। আমি সিলভার ক্যাটাগরির ক্রিকেটার নই। আবারও ধন্যবাদ। পেশোয়ার জালমির জন্য শুভকামনা।’
পরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় কামরান বলেছেন, ‘দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন। সিলভার ক্যাটাগরিতে আমার খেলার কথা নয়। এই ক্যাটাগরি তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। টানা ছয় মৌসুম খেলার পর আমি পেশোয়ারের সহানুভূতি চাই না।’