ভারত দ্বিতীয়বার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে ২০১১ সালে। টিম ইন্ডিয়ার ২৮ বছরের দীর্ঘ খরা কাটে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। আর সেই আসরের সেরা ক্রিকেটার ছিলেন যুবরাজ সিং। মূলত তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে ভারত।
ফাইনালেও যুবরাজ ৫৪ রানের অনবদ্য জুটি গড়েছিলেন ম্যাচ সেরা ধোনির সঙ্গে। এমন ম্যাচ জেতানো জুটি ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁদের অনেক আছে। দুই তারকা ক্রিকেটারের বিদায়ের পর ঋষভ পন্ত-হার্দিক পান্ডিয়া জুটি তাঁদের স্থান নিয়েছে মনে করছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার।
সদ্য শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত খেলেছেন পন্ত-পান্ডিয়া জুটি। বিশেষ করে সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল হওয়া শেষ ম্যাচটিতে। একটা সময় ২৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৭২ রানে ৪ উইকেট হারায়। সেখান থেকে তাঁদের পঞ্চম উইকেটের ১৩৩ রানের আক্রমণাত্মক জুটি দলকে ম্যাচ ও সিরিজ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পান্ডিয়া ৭১ রানে আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পন্ত। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নেন। তিনি অপরাজিত ছিলেন ১২৫ রানে। পন্ত-পান্ডিয়ার আক্রমণাত্মক জুটির বেশ প্রশংসা করেছেন গাভাস্কার। এই জুটি সম্পর্কে সাবেক ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘এমনটি ঘটতে পারে। পান্ডিয়া ও পন্ত অবশ্যই যুবরাজ-ধোনির মতো জুটি গড়তে পারেন। দুজনেরই বড় ছক্কা মারার ক্ষমতা রয়েছে এবং তাঁদের খেলায় ভালোই রানিং বিটুইন দ্য উইকেট দেখা গেছে। আশা করি, তাঁরা দুজন সমর্থকদের হৃদয় জিতবে।’
পূর্বসুরী যুবরাজ-ধোনির জুটির সঙ্গে পন্ত-পান্ডিয়া জুটির অনেক মিল রয়েছে। দুই জুটিতেই একজন করে উইকেটরক্ষক ও অলরাউন্ডার আছে। সাবেক তারকাদের মতো পন্ত-পান্ডিয়া নিজেদেরও ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত করেছে। যুবরাজ-ধোনি জুটি ভারতের হয়ে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত একসঙ্গে ৬৭ ওয়ানডে খেলেছেন। দুই কিংবদন্তি এ সময় ৩১০৫ রান করেছেন ৫১.৭৫ গড়ে। এর মধ্যে ১০টি সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ১৩টি হাফ-সেঞ্চুরির জুটি। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তাঁরা ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ জুটি গড়েছিলেন ২৫৬ রানের। চতুর্থ উইকেটের সে জুটিতে দুজনেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই ওয়ানডেতে অলরাউন্ডার যুবি নিজেও ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রান করেছিলেন। আর সাদা বলের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ধোনি করেছিলেন ১৩৪ রান।