জয় দিয়ে শুরু, জয় দিয়ে শেষ—এই ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের গল্পটা ঠিক এমনই। বাংলাদেশকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল পাকিস্তান। আর আজ ক্রাইস্টচার্চে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন ইফতিখার আহমেদ। ইফতিখারের ছক্কায় ৫ উইকেটের জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতল পাকিস্তান।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা প্রথম পাওয়ারপ্লের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাবর আজমের উইকেট নিয়ে ২৯ রানের জুটি ভেঙে দেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ১৪ বলে ১৫ রান করা বাবর বিদায় নিলে পাকিস্তানকে সাবলীলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শান মাসুদ। মাসুদকে আউট করে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৫ রানের জুটি ভেঙে দেন ব্রেসওয়েল। ২১ বলে ১৯ রান করেছিলেন মাসুদ। এই বাঁহাতির বিদায়ের পর রিজওয়ানও দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। ২৯ বলে ৩৪ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দেন ইশ সোধি।
মাসুদ, রিজওয়ান অল্প সময়ের ব্যবধানে আউট হলে পাকিস্তানের ওপর রানরেটের চাপ বাড়তে থাকে। ১১.৩ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৭৪ রান। এরপর নওয়াজ ও হায়দার আলি কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হন। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েছেন নওয়াজ-হায়দার। হায়দার ও আসিফ আলি দ্রুত বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন নওয়াজ। পাকিস্তানের এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইফতিখার। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ব্লেয়ার টিকনারকে ছক্কা মারেন ইফতিখার। তাতে পাকিস্তানিরা ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নিজেদের করে নেন।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ফাইনালে সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ২২ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এবং বোলিংয়ে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। আর সিরিজ-সেরা হয়েছেন ব্রেসওয়েল। এই টুর্নামেন্টে ৮ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের এই অফ স্পিনার। গড় ১০.৫০ এবং ইকোনমি ৪.৯৪।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাবর। নির্ধারিত ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন কেন উইলিয়ামসন। ৩৮ বলে ৫৯ রান করেন কিউই অধিনায়ক। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।