ক্রীড়া ডেস্ক
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল জয় নিশ্চিতের পরই শুরু হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটারদের উদ্যাপন। শারজায় সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক মুহূর্তেরও। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আশা, এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দারুণ কিছু করবে।
১৬ রানের জয়টা গতকাল শুধু জয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। এই জয় ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১০ বছর পর জয়। এ ছাড়া এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সংযুক্ত আরব আমিরাতে হলেও মূল আয়োজক বাংলাদেশ। মরুর দেশে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে গেছেন আসিফ মাহমুদ, বিসিবির বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমসহ আরও অনেকে। সাংবাদিকদের আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আজকের খেলা দেখার পর বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সফলতার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি মূলত এসেছি যেহেতু এই নারী বিশ্বকাপটা বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আমরা পারিনি।’
শারজার আগে দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ঘুরে দেখেছেন আসিফ মাহমুদ। তাদের মতো অবকাঠামো বাংলাদেশেও করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। সাংবাদিকদের গতকাল শারজায় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আয়োজক, সেটার একটা দাম আছে দুবাইয়ে। যেহেতু আমরা আয়োজক, তাই ঘুরে দেখলাম। একই সঙ্গে আইসিসি একাডেমি মাঠ ঘুরে দেখেছি। এখানকার যে ক্রীড়া অবকাঠামো, সেটা বাংলাদেশে আমরা কীভাবে করতে পারি, সেই শিক্ষাটা নিতেই মূলত (আমিরাতে আসা)।’
নারী ক্রিকেট দল অবহেলিত—এই প্রশ্ন গতকাল শারজায় করা হয়েছে আসিফ মাহমুদকে। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তখন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নারী ক্রিকেট দল যে অবহেলিত থাকবে না, সেটা আপনারা হয়তো আমার এখানে উপস্থিতি দেখেই বুঝতে পারবেন। নারী ক্রিকেট দলের অর্জন তুলনামূলকভাবে যেহেতু বেশি এবং আমরা আশা করছি, এই বিশ্বকাপেও তারা একটা ভালো অর্জন দেশের জন্য নিয়ে আসতে পারবে। সামনের দিনগুলোতে যেন তাদের (নারী) যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারি, এই অভিযোগটা (অবহেলা) যেন না আসে, সেজন্য আমরা কাজ করব।’
ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতিতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে হবে বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘খেলাধুলা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা শুরু থেকেই বলেছি, প্রান্তিক বা তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসতে হবে। এটা টপ-টু-বটম হলে হবে না। কাজ করতে হবে বটম-আপ প্রক্রিয়ায়।’