‘কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ’-অত্যন্ত পরিচিত বাংলা এই প্রবাদের বাস্তব প্রমাণই যেন দেখা গেল গত পরশু। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটান্স-চেন্নাই সুপার কিংস ফাইনালে রবীন্দ্র জাদেজা, মোহিত শর্মা ছিলেন দুই মেরুতে। জাদেজা হয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন আর মোহিত ছিলেন রানার্সআপ দলে। শেষ মুহূর্তে এসে ম্যাচ হেরে যাওয়ার রাতে ঘুমোতেই পারেননি মোহিত।
রিজার্ভ ডেতে হওয়া ফাইনালে জিততে শেষ ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম চার বলে মোহিত শর্মা দিয়েছেন তিন রান। শেষ দুই বলে যখন ১০ রান দরকার, তখন ওভারপিচড বল করেন মোহিত। পঞ্চম বলে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন জাদেজা। আর শেষ বলে মোহিতের দেওয়া ফুলটস ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে চেন্নাইকে জাদেজা এনে দেন শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়। নিশ্চিত ম্যাচ হেরে যাওয়ায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া মোহিত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমি ঘুমোতে পারিনি। কেমন হতো যদি অন্য বল করতে পারতাম। এটা আসলে ভালো কোনো অনুভূতি না। কিছু একটার অভাব ছিল। তবে আমি সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি।’
নিশ্চিত ম্যাচ হেরে গেলেও জাদেজাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মোহিত। গুজরাটের পেসারের ভাষ্য, ‘ইয়র্কারের চেষ্টা করেছিলাম। ভেবেছিলাম পারব। পুরো আইপিএলেই তা করেছি। কিন্তু বলটা অমন হওয়ার কথা ছিল না। আর জাদেজাও ঠিকমতো খেলেছে।’
ফাইনালে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান করে গুজরাট। এরপর চেন্নাই ৩ বলে ৪ রান করার পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ১৫ ওভারে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৭১ রানের। ৫ উইকেটে জিতে পঞ্চম আইপিএল শিরোপা ঘরে তোলে চেন্নাই।