ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ইংল্যান্ড। পরশু আফগানিস্তানের কাছে ৮ রানের হারের পরই বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় তাদের। সেই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জস বাটলার। তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামীকাল করাচিতে গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচ দিয়েই নেতৃত্বের ইতি টানবেন বাটলার। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি আমি। দল ও আমার জন্য এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। অন্য কেউ পরবর্তীতে বাজের (ম্যাককালাম) সঙ্গে কাজ করবে। এই টুর্নামেন্টটি আমার অধিনায়কত্বের ফলাফলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবশ্যই দুটি হার এবং টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়াটা সম্ভবত আমার অধিনায়কত্বের শেষ টেনে দিয়েছে। এটা লজ্জাজনক, আমি এর জন্য দুঃখিত। ম্যাককালাম যেহেতু কেবলই এসেছেন, আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য রোমাঞ্চিত ছিলাম এবং আশা করেছিলাম দ্রুত পরিবর্তন হবে যাতে করে দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়, কিন্তু তা এমনভাবে কাজ করেনি।’
বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এউইন মরগান অবসর নেওয়ার পর ২০২২ সালের জুনে সাদা বলের দায়িত্ব পান বাটলার। তার নেতৃত্বেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। কিন্তু এরপর খুব একটা ভালো সময় কাটায়নি তারা। ধরে রাখতে পারেনি ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। সেবারও আফগানিস্তানের কাছে হেরেছিল তারা। আসর শেষ করে টেবিলের সাতে থেকে।
বাটলারে অধীনে ৪৪ ওয়ানডে খেলে ১৮ টিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। বিপরীতে হেরেছে ২৫ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য তার সফলতার হার বেশি। ৫০ ম্যাচে ২২ টিতে হারলেও জয় এনে দিয়েছেন ২৬ ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫ উইকেটে হারে ইংল্যান্ড। তাদের দেওয়া ৩৫২ রানের লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
বাটলারের নেতৃত্ব নিয়ে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনের বলেছিলেন, ‘মানুষ হিসেবে জস বাটলারকে আমি পছন্দ করি। ড্রেসিংরুমেও সে জনপ্রিয়। কিন্তু জনপ্রিয় হওয়াটা তার দায়িত্ব নয়। তার দায়িত্ব ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেটকে আরও উন্নতি করা। বাটলারের নেতৃত্ব কখনোই মুগ্ধ করেনি আমাকে। (এউইন) মরগানের মতো মাঠে তার সেই উপস্থিতিটা নেই...সবকিছু বিবেচনা করে আমার মনে হয় সরে যাওয়ার সময়টা এখনই।’