নড়বড়ে নব্বইয়ের ঘরে যে কারও মনে একটু ভীতি সঞ্চারিত হবে, সেটিই স্বাভাবিক। রবীন্দ্র জাদেজারও হয়তো তেমন কিছু মনে হচ্ছিল। সেঞ্চুরির জন্য তখন তাঁর দরকার ১ রান। জেমস অ্যান্ডারসনের করা ৮২তম ওভারের পঞ্চম বলটি মিড অনে ঠেলে দিয়েছিলেন। সেটি দেখে দৌড় দিয়েছিলেন নন-স্ট্রাইকে থাকা সরফরাজ খান। মুহূর্তেই সরাসরি হিটে তাঁর স্টাম্প ভেঙে দেন মার্ক উড।
অভিষেক ইনিংসে ফিফটি পাওয়া সরফরাজ থামেন ৬২ বলে। তাঁর এই আউট দেখে ড্রেসিংরুমে ক্ষোভে টুপি খুলে ছুড়ে মারেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই টুপি মাথায় তোলার জন্য সরফরাজকে কম পথ পাড়ি দিতে হয়নি। আজ যখন রাজকোট টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলো, ভারতের টেস্ট টুপিটা ছেলের মাথায় দেখে কাঁদলেন সরফরাজের বাবা।
রোহিত ও জাদেজার মতো দিনটা হতে পারত সরফরাজেরও। রানআউট হওয়ার আগে মনেই হচ্ছিল না, অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি। চা বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একটু দেখেশুনে খেললেও পরে ব্যাট চালালেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬৬ বলে ৯ চার ১ ছয়ে করলেন ৬২ রান।
সরফরাজ আউট হওয়ার পরের বলে তিন অঙ্কের ঘরে পা রাখেন জাদেজা। তার জন্য লাগল ১৯৮ বল। জাদেজার নিজের চার সেঞ্চুরির দুটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, দুটি নিজের মাঠ রাজকোটে। অপরাজিত থেকে দিন শেষ করার আগে ২১২ বলে ১১০ রান করেছেন তিনি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন কুলদীপ যাদবকে (১ *) নিয়ে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। ৩৩ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। সেই রান দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ৩২৬। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১০) ও শুবমান গিলকে (০) বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি উড। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভারতকে স্বস্তির জায়গায় নিয়ে যান রোহিত-জাদেজা। দুজনে ৩২৯ বলে করেন ২০৪ রানের জুটি। রোহিত পেয়েছেন ১১ তম টেস্ট সেঞ্চুরি, তৃতীয় ইনিংসে এসে। উডের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরা ভারত ওপেনার করেন ১৯৬ বলে ১৩১ রান। সঙ্গে বেশ কিছু মাইলফলকও ছুঁয়েছেন। ভারত অধিনায়ক হিসেবে তিন সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর ছয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ২১২।