প্রথমে ‘ব্যাংলাদেশ’ বলে নিজেই উচ্চারণটা শুধরে নিলেন, ‘বাংলাদেশ’। আবার জানতে চাইলেন, ‘এখন চিটাগং নয়, চট্টগ্রাম, তাই তো?’ স্থানীয় নামের উচ্চারণ যেন ঠিকঠাক থাকে, শন পোলক সেই চেষ্টা করছেন। মিরপুর টেস্টে ধারাভাষ্যকক্ষে সবচেয়ে বড় নাম তিনি। চার দিনে মিরপুর টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর একটু সময় মিলল প্রোটিয়া কিংবদন্তির কাছ থেকে।
নিজে ছিলেন তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। সাকিব আল হাসান যদি তাঁর বিদায়ী টেস্টটা মিরপুরে খেলতে পারতেন, তাহলে ধারাভাষ্যকক্ষ থেকেই তিনি দেখতে পারতেন এই সময়ের অন্যতম সেরা এক অলরাউন্ডারের বিদায়। সাকিবের না খেলাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কাই মনে করেন পোলক। আজকের পত্রিকাকে তিনি বললেন, ‘সাকিবের না থাকাটা বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। সে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। তার বাঁ হাতের ঘূর্ণিও বেশ কার্যকরী। জানি না নেপথ্যে কী আছে (সাকিবের না থাকার বিষয়ে)। আমি আসলে এসব জানতেও আগ্রহী নই।’
পোলকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর চোখে এই সময়ে সেরা অলরাউন্ডার কে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পোলককে বেশ ভাবতেই হলো, ‘কঠিন প্রশ্ন। আমি (রবিচন্দ্রন) অশ্বিনের রেকর্ড দেখেছি। সে একজন স্পিনার বলে এই না যে তাকে অলরাউন্ডার হিসেবে ধরা যাবে না। বেন স্টোকসের কথা বলতে পারেন। অনেক অলরাউন্ডারই আছে। যে সংখ্যায় এখন টি-টোয়েন্টি খেলতে হয়, সে ক্ষেত্রে সে (স্টোকস) কিছুটা আড়ালে চলে যায়। কেউ যদি কয়েক ওভার বোলিং করে আর বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারে, তাহলে সেও অলরাউন্ডার হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, জেনুইন অলরাউন্ডার বলতে এর চেয়ে বেশি বোঝায়। স্টোকস—নিজের সেরা বোলিং আর ব্যাটিংয়ের দিনে আপনাকে টেস্ট জেতাবে। বোলিংয়ে অবশ্যই অশ্বিন অনেক ভালো। এমনকি ব্যাটিংয়েও সে কয়েকটা সেঞ্চুরি পেয়েছে। আমার মনে হয় এরাই এ তালিকায় থাকবে।’
(শন পোলকের পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকালের আজকের পত্রিকার খেলা পাতায়)