ক্রীড়া ডেস্ক
১৯৭ রানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য তাড়ায় বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে রেখে যেভাবে জিতল তা অবিশ্বাস্য। গতকাল ওয়াংখেড়েতে এমন অবিশ্বাস্য কাজটি করেছেন সূর্যকুমার যাদব।
লক্ষ্য তাড়ায় মুম্বাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ইশান কিষান (৬৯) ও রোহিম শর্মা (৩৮)। মাত্র ৫২ বলেই দুজনে দলকে ১০০ রানের বেশি সংগ্রহ এনে দেন। এরপর জয়ের বাকি কাজটা সারেন সূর্য। আগের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রানের খাতা খুলতে না পারলেও বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১৯ বলে খেললেন ৫৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ইনিংসে চার ৫টি, ছয় ৪টি। স্ট্রাইক রেট ২৭৩.৬৮।
চোটের কারণে এবারের আইপিএলের শুরুর বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি সূর্য। ফেরেন দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে জ্বলতে পারেননি। গতকাল জ্বললেন। সঙ্গে জেতালেন দলকে। এমন এক ম্যাচ জেতানো ইনিংসের পর প্রশংসায় ভাসছেন সূর্য।
তবে শুরুতে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে না পেরে বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ৩৬০ ডিগ্রি খ্যাত এই ব্যাটার। বেঙ্গালুরুতে পুনর্বাসনে থাকলেও মনটা তাঁর পড়ে ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ক্যাম্পে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। এ নিয়ে সূর্য বলেন, ‘ওয়াংখেড়েতে ফেরা সব সময় আনন্দের। যখন টুর্নামেন্ট শুরু হয় তখন আমি মানসিকভাবে এখানে ছিলাম, যদিও শারীরিকভাবে ছিলাম বেঙ্গালুরুতে (চোট থেকে সেরে উঠতে)।’
গতকাল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ইশান-সূর্যের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের আগে বোলিংয়ে মুম্বাইকে দারুণ শুরু এনে দেন জসপ্রিত বুমরা। শুরুতেই ফেরান কোহলিকে (৩)। ভারতীয় পেসার এরপর নিয়েছেন আরও ৪ উইকেট। এ নিয়ে আইপিএলে দ্বিতীয়বার এক ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। এবারের সংস্করণে এখন পর্যন্ত ৫ ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপও মাথায় তুললেন বুমরা।
সতীর্থের এমন বোলিং দেখে প্রশংসাই ঝরল সূর্যের মুখে। নিজের কথা শেষ করার আগে বুমরা প্রসঙ্গে নিজের একটি গোপন কথাও বলেছেন ভারতীয় ব্যাটার, ‘দু-তিন বছর ধরে আমি তার (বুমরা) বিপক্ষে নেটে ব্যাট করি না। কারণ, হয় সে আমার ব্যাট ভাঙবে অথবা আমার পা।’