নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-টেন লিগের ২০২১ সংস্করণের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টা করা হয়েছিল, যদিও সেটি সফল হয়নি।
নাসিরসহ আটজন আছেন এই দুর্নীতির তালিকায়। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারাও। দুই বছরের তদন্ত শেষে এই তালিকা এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আইসিসির কাছে জমা দেয়। আর আইসিসি অভিযুক্তদের তালিকায় প্রকাশ করে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছে।
নাসিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- তিনি একটি ৭৫০ ডলার মূল্যের (বর্তমান বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা) একটি উপহার পেয়েছেন। কিন্তু কে তাকে এই উপহার দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাকে সেটার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচ পাতানোর জন্য তিনি কোনো প্রস্তাব পেয়েছেন কি না সে বিষয়টিও পরিষ্কার করতে পারেননি।
২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী, প্রস্তাব পেয়েও দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে অভিযোগ না দেওয়া, বিষয়টি তাদের না জানানো কিংবা তাদের কাছ থেকে গোপন করার মতো অভিযোগও আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২.৪.৬ ধারাও ভেঙেছেন নাসির, সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে কোনো ধরনের গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়াই সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানানো বা ব্যর্থ হওয়া।
অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে নাসিরই একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। এর বাইরে আছেন দলের মালিক ও ম্যানেজারও। এই তালিকায় থাকা শাদাব আহমেদ (টিম ম্যানেজার), সানি দিলোন (সহকারী কোচ), সালিয়া সামন (স্থানীয় ক্রিকেটার), রিজওয়ান জাভেদ (স্থানীয় ক্রিকেটার), আসহার জাইদি (ব্যাটিং কোচ) ও পরাগ সাংভি (দলের অন্যতম মালিক)
অভিযোগ আনা আটজনের মধ্যে নাসির ও শাদাব ছাড়া এরই মধ্যে ছয়জনকে অন্তর্বর্তীকালীন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন– কৃশান কুমার চৌধুরী, পরাগ সাংভি, জাইদি, রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান ও সানি দিলোন। তবে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তাঁদেরকে অভিযোগের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০২১ টি-টেন লিগে পুনে ডেভিলসকে নেতৃত্বও দেন নাসির। ৬ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৭ রান, বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।