সর্বশেষ বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ‘টাইমড আউট’ হয়েছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। সেই আউট নিয়ে পরে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটীয় চেতনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেটা এখন অতীত।
তবে গতকাল আরেকটি অদ্ভুত আউট হয়ে আলোচনায় ছিলেন ম্যাথুস। ১৪১ রানের সময় বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ‘হিট আউট’ হন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার। তাঁর এই আউট পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। শ্রীলঙ্কান ব্যাটারের অদ্ভুত আউটের দিনেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আরেকটি আলোচিত আউটের ঘটনা ঘটে। যেটা অনেকটা আড়ালেই পড়ে গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে সেটিও আলোচনা-সমালোচনায় রূপ নিয়েছে। হামজা শেখের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে। এমনটা করতে গিয়ে যে আউট হবেন সেটা হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি ইংল্যান্ডের যুব দলের ব্যাটার। যা কল্পনা করেননি তাই ঘটেছে তাঁর সঙ্গে।
জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক রায়ান কামওয়েম্বাকে সহায়তা করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন হামজা, যার জন্য তাঁকে আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। ইনিংসের ১৭ ওভারের ঘটনা। জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার রায়ান সিম্বির বল ড্রাইভ করার চেষ্টা করলে তা প্যাডে আঘাত হানে। পায়ের কাছে স্থির থাকায় তা হাত দিয়ে উঠিয়ে জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষককে দেন, যা হরহামেশাই ক্রিকেটে দেখা যায়।
এ নিয়ে এখন সামাজিক মাধ্যম সরগরম। ইংল্যান্ডে জাতীয় দলের ব্যাটার স্যাম বিলিংস সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ওয়াও।’ আর ইংল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি পেসার লিখেছেন, ‘ওহ, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেন! সে স্থির থাকা বলটি উইকেটরক্ষককে দিয়েছিল। তার উপকারই করেছিল! এটা কীভাবে আউট দিতে পারেন।’
২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত এই আউটকে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট নামে ডাকা হতো। তবে এটা এখন ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আওতায় রেখেছে আইসিসি। আইসিসি আইনের ৩৭.৪ ধারায় আছে, ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের’ নিয়মে ব্যাটার তখনই আউট হবেন, যদি খেলার সময় ফিল্ডারের সম্মতি ছাড়া ব্যাট অথবা কোনো হাত ব্যবহার করে বল কোনো ফিল্ডারকে দেন।
হামজার আউটে ইংল্যান্ড দল হতাশ হলেও জয় নিয়েই পড়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। সুপার সিক্সের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিলে জিম্বাবুয়ে করতে পারে মাত্র ৯১ রান। তবে ১৪৬ রানে জয়েও টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি তাদের। গ্রুপ ‘২’ থেকে শেষ চারে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।