এই ইংল্যান্ডের খেলা অনেকেরই নাকি পছন্দ না। কেউ কেউ আবার বিশ্রী বলে নাক সিটকায়। তবে এত এত সমলোচনার জবাব সাফল্যে দিয়েই দিয়েছেন সাউথ গেট। ইউরোতে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করার সঙ্গে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার দেশের বাইরে ফাইনালে ওঠার কীর্তিও গড়েছে ইংল্যান্ড।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইউরো সেমিফাইনাল ম্যাচের ৭ মিনিটেই পিছিয়ে পড়া ইংল্যান্ড ম্যাচ শেষ করে ২-১ ব্যবধানে জিতে। সমতায় ফিরতে অবশ্য দেরি করেনি ইংলিশরা। পেনাল্টিতে গোল করেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা হ্যারি কেইন। যদিও ভিএআরে যাচাই করে রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্ত কিছুটা বিতর্কের জন্ম দেয়।
সমতায় ফেরার পর খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখে ইংল্যান্ড। ডাচরা মাঝেমধ্যেই পাল্টা আক্রমণে উঠলেও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৯০ মিনিট পর্যন্ত দু’দলই ১-১ গোলে সমতায় ছিল। বদলি নামা ওয়াটকিংস থেকে আসে জয়সূচক গোলটি। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বদলি নামা অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ডের গোলেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায় ইংলিশরা।
ম্যাচ জয়ের পর উচ্ছ্বাসিত সাউথগেট বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের ফুটবলের উন্নতির জন্য আমি এই চাকরি নিয়েছি। এখন আমরা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে। গত ৫০ বছরে এটি ইংল্যান্ড সমর্থকদের জন্য এটি সেরা একটি রাত।’
তবে বিতর্কিত পেনাল্টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান রোনাল্ড কোমান। ডাচ কোচ বলেছেন ‘এটা কখনোই পেনাল্টি ছিল না, আমি মনে করি পেনাল্টির সময়টা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ড ওখান থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যায়।’
এই হারে ৩৬ বছর পর ইউরো ফাইনাল খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয় নেদারল্যান্ডসের। অন্যদিক টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করে শিরোপা অর্জনের দারুণ হাতছানি দিচ্ছে বেলিংহামদের।