ক্রীড়া ডেস্ক
ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জিতল অস্ট্রেলিয়া। সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ভারতের দুই সিনিয়র রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিকে নিয়ে সমালোচনা, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ হয়েছে অনেক বেশি। কারণ, যে প্রত্যাশা ছিল তাঁদের (রোহিত-কোহলি) ওপর, সেটার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) পঞ্চম টেস্টে আজ তিন দিনেই হেরে গেছে ভারত। এই সিরিজে রোহিত ৩ ম্যাচে ৫ ইনিংসে করেন ৩১ রান। সর্বোচ্চ করেন ১০ রান। আউট হওয়ার ধরনও ছিল দৃষ্টিকটু। অন্যদিকে কোহলি পার্থে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও সব মিলিয়ে ৯ ইনিংস খেলে করেন ১৯০ রান। যে আটবার আউট হয়েছেন, প্রত্যেক বারই অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছেন ভারতীয় এই ব্যাটার।
সিডনি টেস্টে কুপোকাত ভারত ছিটকে গেছে ২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনাল থেকেও। যদিও একটা সময় ভারতের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা ছিল অনেক বেশি। দলের এমন ভরাডুবির পর আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। রোহিত-কোহলির ভবিষ্যৎ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে গম্ভীর উত্তর দিয়েছেন কৌশলে। ভারতের প্রধান কোচ বলেন, ‘দেখুন। কোনো ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি বলতে পারব না। এটা তাদের (কোহলি-রোহিত) ব্যাপার। তবে একটা কথাই আমি বলতে পারি তাদের ভেতর ক্ষুধাটা আছে। খেলার প্রতি প্যাশন রয়েছে। তারা দৃঢ় মানসিকতার ব্যাপার।’
২০২৪ সালের ২৯ জুন বার্বাডোজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত জেতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন রোহিত ও কোহলি। খেলার মধ্যে বাকি থাকল টেস্ট ও ওয়ানডে। রোহিত-কোহলি প্রসঙ্গে গম্ভীর আরও বলেন, ‘আশা করি, তারা (রোহিত-কোহলি) ভারতীয় ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নেবে। আমরা তো জানি, যে পরিকল্পনাই তারা করুক, ভারতের সবচেয়ে ভালো দিকটার কথা চিন্তা করবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম টেস্টের একাদশ থেকে রোহিত নিজেকে বাদ দিয়েছেন। নিয়মিত অধিনায়ক এভাবে বাদ দেওয়াতে অনেকেই টেস্টে তাঁর শেষ দেখে ফেলেন। যদিও রোহিত গতকাল বলেছেন, ‘অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলিনি। টে রান আসছে না বলেই আমি বসে গেছি।’ তাঁর (রোহিত) ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে আজ সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর বলেন, ‘অনেক কথাবার্তাই হয়েছে। তবে সারমর্ম হচ্ছে এই যে যাদের দলে আসা ও দল থেকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, দেশ ও দলের সেখানে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমার বিশ্বাস আমিসহ অন্যান্য ক্রিকেটারদেরও ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে দলকে স্থান দেওয়া উচিত।’