ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিজেদের সব ম্যাচেই ফিফটি করেছেন সেদিকউল্লাহ আতাল। এর মধ্যে তিনটি ইনিংসই পেরিয়েছে ৮০। সেদিকউল্লাহর তাণ্ডবে গতকাল সেমিফাইনালে ভারতকে ৩০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আফগানিস্তান।
ইমার্জিংয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখিয়েছে আফগানরা। প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। আগামীকাল ফাইনালে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার লড়াই।
ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (মিনিস্ট্রি টার্ফ ১) টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান ‘এ’ দল। টপ অর্ডারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চড়ে ৪ উইকেটে ২০৬ রান তোলে তারা। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৭ উইকেটে ১৮৬ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
দুই ওপেনার জুবাইদ আকবরি ও সেদিকউল্লাহ ১৪.১ ওভারে আফগানিস্তানের স্কোরে জমা করে ১৩৭ রান। দুর্দান্ত শুরু পেয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি আফগানদের। ১৫ তম ওভারের প্রথম বলে আকিব খানের শিকার হন জুবাইদ। ৪১ বলে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা ও ৫টি চার।
সেদিকউল্লাহর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের আরেকটু দারুণ জুটি হয় করিম জানাতের। ১৮ তম ওভারে রসিখ সালামের বলে বোল্ড হন সেদিকউল্লাহ। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৫২ বলে ৮৩ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ ব্যাটার। ২০ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন করিম। ২০৬ রানের স্কোর গড়ে আফগানিস্তান। ভারতীয় পেসার রসিখ নিয়েছেন ৩ উইকেট।
২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে পাওয়ারপ্লেতে ৪৮ রানে ৩ টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। পরে আয়ুশ বাদোনি ২৪ বলে ৩১, নেহাল ওধেরা ১৪ বলে ২০, নিশাত সিন্ধু ১৩ বলে ২৩ ও রামান্দ্বীপ সিং ৩৪ বলে ৬৪ রান করলেও দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আফগানিস্তানের মোহাম্মদ গানজাফর ও আবদুল রহমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।