ওয়ানডে সংস্করণে ৩ ম্যাচে অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়কত্ব করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই তিন ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ দল। সিলেট টেস্ট দিয়ে টেস্ট অধিনায়কত্বেরও অভিষেক হয়ে গেল তাঁর। তবে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে শান্তর নেতৃত্বের শুরুটা হলো রাজকীয়।
টেস্টে শান্তর অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। তাঁর নেতৃত্বে সিলেটে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিকেরা। কিউইদের বিপক্ষে দেশের মাঠে বাংলাদেশের এটি আবার প্রথম টেস্ট জেতা। ম্যাচে কৌশল, বোলিং পরিবর্তন, রিভিউ সবকিছুতে শান্ত হয়েছেন প্রশংসিত। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের জয়ে তাঁর চৌকস সিদ্ধান্তগুলোর অবদানও ছিল অনেক।
কিউইদের হারিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত শান্ত। ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘ভালো লাগছে। খুবই খুশি। যেরকম চিন্তা করে এসেছিলাম, পরিকল্পনা করেছি, প্রথম টেস্ট ম্যাচ ছিল অধিনায়ক হিসেবে। সব মিলিয়ে যদি চিন্তা করি, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে এ রকম জয়, খুবই আনন্দিত।’
দলের জয়ে দলের সব খেলোয়াড়কে কৃতিত্ব দিয়েছেন শান্ত। তাঁকে খুব বেশি মোটিভেট করতে হয়নি সতীর্থদের। সবাই যাঁর যাঁর জায়গা থেকে নিংড়ে দিয়েছেন নিজেদের। শান্ত বললেন, ‘আমি খুবই পরিষ্কার ছিলাম। আমি কাউকে মোটিভেট করার জন্য বলিনি। কথাটা বোঝাতে চেয়েছিলাম যে এই সিরিজটা জিততে পারি এবং জেতার জন্যই আমরা খেলব। এই বিশ্বাসটা শুধু আমার মধ্যে ছিল তা না, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যে ছিল। আমি যখন দেখেছি প্রত্যেক খেলোয়াড় ওভাবে চিন্তা করছে, তখনই আমার মধ্যে বিশ্বাসটা আসছে যে আমি যেটা চিন্তা করেছি, সবাই এটা চিন্তা করছে। এখান থেকে জেতা যে সম্ভব, এই বিশ্বাসটা আমরা তখনই করেছি।’
৬ ডিসেম্বর থেকে মিরপুরে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। তবে সিরিজ জিততে ওই ম্যাচেও পাঁচ দিন লড়তে হবে বললেন শান্ত, ‘আমাদের কন্ডিশনে খেলা হচ্ছে। আমাদের যে বোলিং আক্রমণ, ব্যাটিংয়ে যে শক্তির জায়গা আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিনটা আলাদা আলাদা করে যেমন শক্তি আছে, আমার কাছে মনে হয়েছে সিরিজটা জেতা সম্ভব। যদিও একটা ম্যাচ বাকি। অর্ধেক কাজ হয়েছে। এমন না যে পরের ম্যাচ যাব আর জিতে যাব। এ রকম হবে না। আবার ওই পাঁচ দিন কষ্ট করা লাগবে। অর্ধেক কাজ হয়েছে। আশা করব, যে পরের ম্যাচে কীভাবে আরও উন্নতি করে জিততে পারি।’