ক্রীড়া ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে শিখর ধাওয়ান অনেক দিন রয়েছেন বাইরে। মাঠের বাইরেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাঁর। স্ত্রী আয়েশা মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গেছে ভারতীয় এই বাঁহাতি ব্যাটারের।
দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কমপ্লেক্সে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। স্ত্রী আয়েশার বিরুদ্ধে মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন ভারতীয় এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার। যার ফলে একমাত্র সন্তান জোরাভর ধাওয়ান থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে (ধাওয়ান)। কেননা ১০ বছরের ছেলে জোরাভোরকে নিয়ে স্ত্রী আয়েশা আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। আর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কারণে ধাওয়ানের পক্ষে সম্ভব ছিল না অস্ট্রেলিয়ায় থাকা। ডিভোর্স পিটিশনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা ধাওয়ানের অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছেন বিচারক হরিশ কুমার। আদালত জানিয়েছেন যে ধাওয়ানের স্ত্রী অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি।
আয়েশার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে এ বছরের মার্চে ধাওয়ানকে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই টপ অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আমি ব্যর্থ হয়েছি কারণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার (আয়েশা) নিজের। কাউকে তো দায়ী করতে পারি না। এখন আমার ডিভোর্স কেস চলছে। ভবিষ্যতে আবার যখন বিয়ে করব, তখন আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ের আগে আয়েশার আগের পক্ষে দুই মেয়ে রয়েছে। তখন তাঁর স্বামী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যবসায়ী। আর ২০১২ এর অক্টোবরে ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। এরপর ২০২১ সালে ডিভোর্স নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমার দুইবার ডিভোর্স হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার কাছে শব্দটা জঘন্য মনে হতো। এই শব্দটা যে কতটা অর্থবহ হয়ে উঠতে পারে, তখন আমি বুঝতে পেরেছি। তখন আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন আমি ব্যর্থ।’