সালাহ উদ্দীন
২০০৭ থেকে ২০১৯—প্রতিটি বিশ্বকাপে তিনটা ম্যাচের বেশি বাংলাদেশ কখনো জেতেনি। খারাপ খেলি আর ভালো খেলি, আমরা থেমে আছি ওই তিন জয়ের চক্রেই। বাংলাদেশ যদি এবার পাঁচটা ম্যাচ জেতে, তাহলে সেটা অনেক বড় সাফল্য। দল সেমিফাইনালে খেলুক আর না খেলুক, সেটা পরের বিষয়। আগে ওই তিনের ব্যারিয়ার ভাঙতে হবে।
যদি প্রথম ছয় ম্যাচের চারটাই জিততে পারে, দলের চেহারাই তখন অন্যরকম থাকবে। তখন সেমিফাইনালের চিন্তা করা যাবে। লম্বা টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম ধরে রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে। এ কারণে উইনিং হ্যাবিট তৈরি করে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে।
সবাই দেখতে পাচ্ছি, এই বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় শক্তি বোলিং বিভাগ। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ ২০১৯ বিশ্বকাপের চেয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে পেস আক্রমণ অনেক ভালো। তাসকিন-মোস্তাফিজ-শরীফুলদের নিয়ে নতুন করে আর কী বলব, স্পিন আক্রমণও ভালো। স্বয়ং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আছে। মেহেদী হাসান মিরাজ এখন অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। নাসুম আহমেদ ভালো বোলিং করছে। একাদশে শেখ মেহেদী থাকলে সে-ও ভালো করবে। মেহেদী বোলিংয়ে দিনে দিনে আরও উন্নতি করছে।
আমার, আমাদের সবার চিন্তা হচ্ছে ব্যাটিং নিয়ে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। এই বিভাগে ধারাবাহিকতা থাকলে অনেক ম্যাচ জেতা সম্ভব। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজ চলার সময়ও মনে হয়েছে দল স্থিতিশীল নয়। কিছু জায়গা নড়বড়ে আছে। ওই জায়গাগুলো আশা করি সমাধান করে ফেলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সমাধান করতেই হবে। আমি মনে করি, ভারতের মাঠে নিয়মিত ২৮০ রান করতে পারলে অনেক ম্যাচ জেতা সম্ভব। কাজেই ব্যাটারদের রান করতে হবে। এখানে রান করার সুযোগ অনেক বেশি থাকবে। ঢাকার চেয়ে ভালো কন্ডিশন আর উইকেটেই ব্যাটিং করার সুযোগ থাকছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেরাটা দিলে সবকিছু ভালোই হওয়ার কথা।
লেখক: প্রধান কোচ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস