ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছে ভারত। টি-টোয়েন্টিতে এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা। আজ হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি। সফরের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নামবে সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে। অন্যদিকে ভারত দিয়ে রেখেছে কঠিন হুমকি। টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও শান্তদের ধবলধোলাই করতে চায় তারা।
পুরো সফরে বাংলাদেশকে ৫-০ ব্যবধানে হারানোর ইঙ্গিত দিলেন ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট। তৃতীয় ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ডেসকাট বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ভালোভাবেই শেষ করতে চাই। গোতির (ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর) পক্ষ থেকে বার্তা ছিল প্রতিটি ম্যাচই দেশের জন্য খেলছ তোমরা। এর সঙ্গে হয়তো চাপও থাকছে। ফলে এখানে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগই নেই। আমরা অবশ্যই চাই ৩-০ ব্যবধানে এই সিরিজ জিতে পুরো সফরে ৫-০ করতে।’
ডেসকাটের মতে, তাদের দলে সেই মানের ক্রিকেটারও রয়েছে। তাঁদের ওপর আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট, ‘এই সিরিজে দারুণ কোয়ালিটি ক্রিকেট খেলেছি আমরা। এ ছাড়া যারা নতুন এসেছে, তাদের ব্যাপারটিও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রথম ম্যাচে দুজন অভিষিক্ত ছিল। যারা দলের সঙ্গে আছে—জিতেশ, এর সঙ্গে যারা এখনো খেলেনি হার্শিত (রানা) ও তিলক (ভার্মা)। আমরা তাদের অবস্থাটা দেখতে চাই এবং জানতে চাই কীভাবে তাদের সেরাটা বের করে আনতে পারা যাবে। কারণ তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সামনের দিনগুলোতে।’
রিয়ান পরাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর ও হার্দিক পান্ডিয়ার মতো দুর্দান্ত অলরাউন্ডার রয়েছেন ভারতীয় দলে। একাধিক অলরাউন্ডার ভারতকে এগিয়ে রাখছে বললেন ডেসকাট, ‘দলের ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আপনি হয়তো চাইবেন না দলে অতিরিক্ত বোলার খেলাতে। তবে ব্যাটিংটা এমন হচ্ছে যে হয়তো ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও এ রকম কিছু বলা যেতে পারে। ফলে এমন অবস্থায় চাইলে একজন বিশেষজ্ঞ বোলারও নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে অধিনায়কের হাতে অনেক বিকল্প থাকে। খেলাটা এখন এমন অবস্থায় আছে, খুব অল্প সময়েই পাঁচ-ছয়জন বোলারই ভালো করে। ফলে বাড়তি বিকল্প থাকাটা ভালো ব্যাপার। কিছু মানুষ বেশি বল করতে চায় তবে হার্দিক শেষ ম্যাচে বল করেনি। ফলে এখানে দারুণ ব্যাপার ছিল দলের বোলিং গভীরতা পরীক্ষা করে দেখা।’
ভারতের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ডেসকাট জানান, ‘দারুণ অভিজ্ঞতা। একদম কাছ থেকে তাদের দেখার অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার, তারা কতটা ভালো। এর আগে তাদের টিভিতে দেখা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দেখা হয়েছে। এখানে একদম কাছ থেকে কাজ করছি। দারুণ কোয়ালিটি আছে তাদের। তারা জানে তারা কেন কাজ করছে। দারুণ আনন্দের ব্যাপার। তরুণেরা এখানে দলে আসছে। অভিজ্ঞ থেকে তরুণ সবাই জানে এখানের সিস্টেমটা কী। দারুণ লাগছে। অবশ্যই কিছুটা কঠিন এত এত প্রতিভাবানের যত্ন নেওয়া প্রতিনিয়ত।’