ক্রীড়া ডেস্ক
জেসন হোল্ডারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তানজিদ হাসান তামিমের উচ্ছ্বাস যেন থামতেই চাচ্ছিল না। শূন্যে ঘুষি মেরে এরপর হেলমেট খুলে আকাশের দিকে ব্যাট উঁচু করে ধরলেন। হবে না-ই বা কেন? স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির প্রথম সেঞ্চুরি যে করেছেন তানজিদ তামিম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হয়েছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবারের বিপিএলে তানজিদ তামিম খেলছেন চট্টগ্রামের হয়ে। ৫৮ বলে পেয়েছেন তিন অঙ্কের দেখা। তামিমের যেমন বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, তেমনি এটা এবারের বিপিএলের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ৮টি করে চার ও ছক্কায় ১১৬ রান করে আউট হয়েছেন। এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তানজিদ তামিমকে সেঞ্চুরির অনুভূতি কেমন, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন আতহার আলী খান। জুনিয়র তামিম তখন বলেন, ‘অবশ্যই। এটা আমার কাছে বিশেষ। আমার থেকে সম্ভবত আমার মা-বাবা বেশি খুশি হয়েছেন। আমার ছোট এক ভাগনে আছে। তাই আমার এই সেঞ্চুরিটা তাকে উৎসর্গ করতে চাই।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রতিনিধি হয়ে আসেন তানজিদ তামিম। সেঞ্চুরি কাকে উৎসর্গ করেছেন, সে প্রশ্ন আবারও করা হয় তানজিদ তামিমকে। তানজিদ তামিমের উত্তর ছিল একই (ছোট ভাগনেকে উৎসর্গ)। এবার তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। আমি সেটা ওখানেও (পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে) বলেছি। আমার ছোট একটা ভাগনে আছে। সব সময় ওর (ভাগনে) সঙ্গে কথা হয়। মাঠে আসার আগে, এমনকি ম্যাচে নামার আগেও কথা হয়। ও আমাকে দেখলে ছয় বললে ছয় দেখায়। আউট বললে আউট দেখায়। তো আমার এই সেঞ্চুরিটা ওকে উৎসর্গ করতে চাই।’
খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ হারিয়ে বিপিএলের প্লে অফ নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জয়টাও এসেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঠিক আগের দিন। এই জয় চট্টগ্রাম উৎসর্গ করেছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দেওয়া শহীদদের। সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ তামিম বলেন, ‘ভালো একটা ম্যাচ জিতেছি আমরা। সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্লে অফ নিশ্চিত করেছি। এটা বেশি ভালো লাগার। দলের সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। সবাই আমাদের এই জয়টা ভাষাশহীদদের জন্য উৎসর্গ করেছে।’