নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আকাশে উড়তে থাকা রংপুর রাইডার্সকে মাটিতে নামিয়ে আনার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল চিটাগং কিংস। ১৬৪ রানেই তারা আটকে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্সকে। কিন্তু ঘরের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শকের সমর্থন নিয়েও ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল চিটাগং; ২০ ওভার খেললেও ৮ উইকেটে ১৩১ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। তাতে রংপুর রাইডার্সের জয় ৩৩ রানে।
বিপিএলের ঢাকা প্রথম পর্বে অপরাজিত ছিল রংপুর রাইডার্স। অপরাজিত ছিল সিলেট পর্বে। বিপিএলে ভেন্যু বদল হলেও বদল হয়নি রংপুর; চট্টগ্রাম পর্বও জয় দিয়ে শুরু করল তারা। গতকালের জয়ে চলতি বিপিএলে অজেয়ই থাকল রংপুর; ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে তারা।
রান তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি চিটাগং কিংসের। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার উসমান খানের (০) বিদায়। ওই ১ উইকেটেই ৪৫ রান তুলে ফেলেছিল তারা। তখনো মনে হয়েছিল, ঘরের মাঠে রংপুর রাইডার্সকে হয়তো হারাতেও পারে তারা। কিন্তু ওই মনে হওয়াই সার! ৪৫ থেকে ৫৩—এই ৮ রানের মধ্যে আরও ৩ ব্যাটারকে খুইয়ে বসে চিটাগং। যার মধ্যে ছিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গ্রাহাম ক্লার্কও (২৩)।
৫৩ রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকেরা। সেই চাপ সামলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে ব্যাটিং করতে ব্যর্থ পরের ব্যাটাররা। ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে শামীম হোসেন ৩১ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করলেও তা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। শামীমের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে। ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আকিফ জাভেদ।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে রংপুর রাইডার্স। স্বাগতিকদের আঁটসাঁট ব্যাটিংয়ে তৃতীয় ওভারেই দলীয় ৯ রানে ওপেনার তওফিক খানকে (৫) হারায় রংপুর। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ও স্টিভেন টেলরের ৫৪ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে অতিথিরা। দলীয় ৬৩ রানে সাইফ (১৭) ফিরলে খেই হারায় তারা। টেলরও ফেরেন ৩২ রানে। সুবিধা করতে পারেননি ইফতিখার আহমেদও (৫)।
তবে ৭ ছক্কা ও ২ চারে খুশদিলের ২৮ বলে ৫৯ এবং শেখ মেহেদী হাসানের ১২ বলে ১৭ রানের সুবাদে ১৬৪ রান তোলে রংপুর। বলে-ব্যাটে এখন পর্যন্ত বিপিএলের সবচেয়ে ইমপ্যাক্টফুল ক্রিকেটার খুশদিল। ৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন ২৭৪ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও আলিস নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।