ঘন ঘন চোটে পড়ায় ম্যাচ মিস করেন তাসকিন আহমেদ। তবু যতটুকু সুযোগ পান, নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট—সব জায়গাতেই ব্যাটারদের পরীক্ষায় ফেলেন বাংলাদেশের এই পেসার।
২০১৮ থেকে ২০২১—৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তাসকিন। এরপর তাঁর প্রত্যাবর্তন হয়েছে দুর্দান্ত। ২০২১-এর ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১৩ উইকেট নিয়েছেন। যা সর্বশেষ তিন বছরে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সব মিলে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এই সময়ে ১৪০ ও ১২৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে যেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা হয়ে উঠেছেন তিনি। সেই তাসকিনের কাঁধে এখন ২০২৪ বিপিএলের দুর্দান্ত ঢাকার সহ অধিনায়কের দায়িত্ব। মোসাদ্দেক হোসেনের ডেপুটির দায়িত্বে থাকছেন তাসকিন। তাসকিন এবার স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলেরও অধিনায়ক হওয়ার। সংবাদমাধ্যমকে এমন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের এই পেসার বলেন, ‘জ্বি, অবশ্যই। কেন না, সব খেলোয়াড়ের জন্যই স্বপ্ন থাকে। ধাপে ধাপে সবকিছুই হবে এক সময়।’
দুর্দান্ত ঢাকায় অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক হিসেবে সৈকত ও তাসকিন আছেন। আছেন দলটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। দলটিতে তাসকিনের সঙ্গে পেস আক্রমণে থাকছেন শরীফুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে আছেন নাঈম শেখ, সাইফ হাসানের মতো তরুণ বাংলাদেশি ব্যাটার। বিদেশিদের মধ্যে সাইম আইয়ুব, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চতুরঙ্গ ডি সিলভার মতো ক্রিকেটার। তারকাখ্যাতি সম্পন্ন ক্রিকেটার তেমন না থাকলেও ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে নিয়ে আশাবাদী তাসকিন বলেন, ‘আমাদের দলটা অনেক তরুণ। সুজন স্যার আছেন, মোসাদ্দেক আছে, আমিও আছি, আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। হয়ত প্রাপ্যতা সাপেক্ষে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আসবে দেরিতে, কাউকে অনেক সময় সঠিক সময়ে পাওয়া যাবে না। যে দলটা আছে এটাই যদি গুছিয়ে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে খেলতে পারি, অবশ্যই ভালো কিছু হবে।’
বিপিএলে এখন পর্যন্ত তাসকিন খেলেছেন ৬৬ ম্যাচ। ৮.২৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৮৯ উইকেট। বিপিএল ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। এবারও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করে তাসকিন বলেন, ‘হ্যাঁ আমার নিজের যে অভিজ্ঞতাগুলো আছে আমি সবসময় দলের জন্য শেয়ার করার চেষ্টা করবো। যাতে আমাদের দলটা উপকৃত হয়।’