পুরো এশিয়া কাপে ব্যাটিং নিয়ে ভুগেছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ছিল না আজও। বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে। প্রথম সারির প্রায় সব ব্যাটারই রানের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মূল ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসানের কল্যাণে বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৬৫ রানে।
এমনিতে এই ম্যাচের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। ফাইনালের দৌড় থেকে বাংলাদেশ আগে থেকেই ছিটকে গেছে। তাও লিটন দাস-এনামুল হক বিজয়দের নিজেদের অবস্থা দেখার জন্য দারুণ মঞ্চ ছিল। সুযোগ হেলায় হারিয়েছেন তাঁরা। লিটনের রানখরা এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ।
লিটন আজ আউট হয়েছেন শূন্য রানে। মোহাম্মদ শামির বলে ইনসাইড-এজে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। লিটনের আউটের পরের ওভারের প্রথম বলে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজীদ হাসানও। শার্দুল ঠাকুরের বলে পুল করতে গিয়ে ইনসাইড-এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে ১৫ রান তুলতে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলকে টেনে নিতে পারেননি এনামুল হক বিজয়।
এবারের এশিয়া কাপে আজই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন বিজয়। কিন্তু সেটা হেলায় হারিয়েছেন ৪ রানে আউট হয়ে। বিপর্যয় সামাল দিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে ওপরে তুলে আনা হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৮ বলে ১৩ রান করেছেন মিরাজ। একপর্যায়ে ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এখান থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে বড় স্কোরের আশা জাগিয়েছিলেন সাকিব।
এখানেও আশাভঙ্গ। সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকা সাকিব আউট হয়ে যান ৮৫ বলে ৮০ রান করে। তাঁর ইনিংসে ৬ চার ৩টি ছক্কার মার রয়েছে। তিন ছক্কার প্রথমটিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৫ তম ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব। ডাউন দ্য উইকেটে এসে অক্ষর প্যাটেলকে ওয়াইড লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন তিনি। ফিফটি পূর্ণ করতে ৬৫ বল লাগে বাংলাদেশ অধিনায়কের। এক বল পর মিডউইকেট দিয়ে অক্ষর ওই ওভারে দ্বিতীয় ছক্কা মারেন সাকিব। সাকিবের তৃতীয় ছক্কাটি রবীন্দ্র জাদেজাকে। সাকিব-হৃদয়ের জুটি থেকে এসেছে ১০১ রান।
সাকিবের আউটের পর ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়ও। ৮১ বলে ৫৪ রান শামির বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের স্কোর ২৫০ 'শ ছাড়িয়েছে নাসুম আহমেদের দারুণ এক ক্যামিং ইনিংসে। ৪৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে যেন টপ অর্ডার ব্যাটারদের নাসুম দেখালেন কীভাবে রান করতে হয়। অষ্টম উইকেটে শেখ মেহেদীর সঙ্গে তাঁর জুটি ৪৫ রানের। মেহেদী অবশ্য শেষ পর্যন্ত ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।