ক্রীড়া ডেস্ক
আরব আমিরাতে বিশ্বকাপ বলে ফেবারিটদের তালিকার ধারেকাছেও ছিল না অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। সব ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলছে ট্রান্স-তাসমানিয়ান দুই প্রতিপক্ষ, যারা আবার একে অপরের শক্তিমত্তা সম্পর্কে বেশ ভালো করেই জানে।
দুই দলেই আছেন বিস্ফোরক কয়েকজন ব্যাটার। বোলিংয়েও অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দুই দল। তবে এদিক থেকে সম্ভাবনাটা একটু বেশিই হেলে কিউইদের দিকে। কারণ কেন উইলিয়ামসনের হাতে আছেন ট্রেন্ট বোল্টের মতো এক পেসার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ভুলে যাওয়ার মতো এক পারফরম্যান্স করেছেন বোল্ট। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। উইকেট পাননি বলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারেন কিউই পেসার, যিনি আবার অজিদের উইকেট শিকার করতে একটু বেশিই পছন্দ করেন!
দুবাইয়ের পিচ খানিকটা ধীরগতির হওয়ায় উইকেট পেতে খানিকটা বেগ হতে হয় পেসারদের। এমন পিচেই গত বছর থেকে নয় ম্যাচে মাত্র ১৩.৫০ গড়ে ২০ উইকেট নিয়েছেন কিউই পেসার। ছিল দুটি মেডেন। আর অস্ট্রেলিয়া হলে তো কথাই নেই! অ্যারন ফিঞ্চদের বিপক্ষে বোল্টের পরিসংখ্যান বেশ আকর্ষণীয়। এখন পর্যন্ত যতগুলো দেশের বিপক্ষে খেলেছেন, তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই বোল্টের উইকেট সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, আট ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
ইংল্যান্ড ম্যাচ বাদে এবারের বিশ্বকাপের সব ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। ছয় ম্যাচে তার উইকেটের সংখ্যা ১১। এবারের আসরে তিনিই একমাত্র পেসার, যাঁর ঝুলিতে আছে ১০-এর বেশি উইকেট। নিউজিল্যান্ডের জন্য যেমন মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন ডেভিড ওয়ার্নার-ফিঞ্চ উদ্বোধনী জুটি, তেমনি ছাড় দিলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামাতে ওস্তাদ বোল্ট!