বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর নামই হয়ে গেছে ‘আইস কুলার’। ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারার অনন্য ক্ষমতা আছে কেন উইলিয়ামসনের। সেই উইলিয়ামসই কি না রাগে-হতাশায় নিজের হাত কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন! হ্যাঁ, এটাই সত্যি।
লম্বা সময় ধরে কনুইয়ের চোটের সঙ্গে লড়াই করছিলেন উইলিয়ামসন। বিরক্তির উদ্রেক ঘটা স্বাভাবিকই ছিল। সেটা ঘটেছেও। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে গেলেই ফের সেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই করতে করতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন অনেক দিন। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচও ঠিকঠাক খেলতে পারেননি কনুইয়ের চোটের কারণে।
বিশ্বকাপের পর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে যায় নিউজিল্যান্ড। সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে ছিলেন উইলিয়ামসন। গত নভেম্বরে কানপুরে হওয়া প্রথম টেস্টে মাঠে ফিরলেও চোট পিছু ছাড়েনি। এরপর থেকেই মাঠের বাইরে আছেন। খেলেননি ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও।
চোট থেকে ফেরার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন উইলিয়ামসন। তবে এখনো পর্যন্ত নিজের জন্য কার্যকরী কোনো উপায় খুঁজে পাননি তিনি। উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমি এমন অনেকের গল্প শুনেছি যারা এই চোটের মধ্য দিয়ে গেছে এবং শুরুতে তাদের কথা অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল। আমার এই লড়াইয়ের শেষ কোথায়, তা জানতে আমি কৌতূহলী।’
বর্তমানে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতি দুই দিনে ব্যাটিং করছেন ২০-২৫ মিনিট করে। ব্যথানাশক ওষুধের দরকার হচ্ছে না এখন। আগামী মার্চে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা বলের ক্রিকেট দিয়ে ফেরার আশা উইলিয়ামসনের।