ঢাকা: শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে আজ বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছেন দলের সব ক্রিকেটারই। বাজে খেলে সিরিজ হেরেছেন, কীই–বা বলবেন মুমিনুলরা। শেষ পর্যন্ত প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকেই আসতে হলো সাংবাদিকদের সামনে।
আইপিএল খেলতে সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না। দলে থাকা আর কেউও হতে পারেননি এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের বিকল্প। কোনো টেস্টেই প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে পারেননি বোলাররা। পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে তিন বিভাগেই ব্যর্থ মুমিনুলের দল হেরেছে ২০৯ রানে। হাতছাড়া হয়েছে সিরিজটাও।
সফরে সাকিবের অনুপস্থিতি বেশি অনুভব করেছে বাংলাদেশ। কাল বিমানবন্দরে এল সাকিব–প্রসঙ্গ। উত্তরে ডমিঙ্গো বললেন, ‘সাকিব থাকলে ফল আরেকটু ভালো হতে পারত।’ দলের পারফরম্যান্সে যে হতাশ, সেটিও লুকাননি ডমিঙ্গো, ‘খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি হতাশ। এতে সমালোচনা হবেই। আমাদের সেটা মেনে নিতে হবে।’
টেস্ট সিরিজ হারের হতাশায় প্রলেপ দিতে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে পাখির চোখ করেছেন ডমিঙ্গো। দারুণ কিছু করে জিততে চান ২৩ মে শুরু সিরিজটা। বাংলাদেশ কোচ বলেছেন, ‘আশা করছি সামনের ওয়ানডে সিরিজে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
শ্রীলঙ্কায় ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সবাই ছিলেন জৈব সুরক্ষাবলয়ে । দেশে ফেরার আগে ২ মে রাতে সবারই করোনা পরীক্ষা করা হয়। ফল নেগেটিভ আসার পরই বিশেষ চার্টার্ড বিমানে দেশে ফেরেন তাঁরা।
করোনা মহামারিতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের পাশাপাশি চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আরোপ করা আছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুমিনুলদের জন্য কোভিড প্রটোকল শিথিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিজ নিজ বাসাতেই কোয়ারেন্টিনে থাকবেন ক্রিকেটাররা।