টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের পথ মসৃণ করতে হলে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আজ জিততেই হতো বাংলাদেশ দলকে। ব্যাট হাতে উজ্জ্বল সাকিব আল হাসান ও বোলিংয়ে রিশাদ হোসেনের সৌজন্যে কাঙ্খিত জয়ও পেয়েছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পর অনেকেই বলছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে ফুরিয়ে গেছেন সাকিব। ম্যাচসেরা পারফরম্যান্স করে অজস্র সমালোচনার জবাব পরের ম্যাচেই দিলেন ডাচদের বিপক্ষে। নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে সাকিব খেলেছেন ৪৬ বলে ৯টি চারে ৬৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। স্ট্রাইকরেট—১৩৯.১৩।
সর্বশেষ ২০২২ সালে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন সাকিব। তারপর টি-টোয়েন্টিতে আরেকটি ফিফটি পেতে সাকিবের অপেক্ষা ১ বছর ৮ মাস, ২০ ইনিংসের। ১৩তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি করে ফেরিয়ে গেছেন আড়াই হাজার রানও। প্রথম বাংলাদেশি ও সব মিলিয়ে ১২তম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ২৫০০ রানের মালিক হলেন সাকিব। এই সংস্করণে তাঁর বর্তমান রান ১২৩ ইনিংসে ২৫১৫। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর রান এখন ৩৯ ইনিংসে ৮১৭। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিফটি পেলেন ৮ বছর পর।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অবদান রাখতে পেরে উচ্ছ্বসিত সাকিব। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর কণ্ঠে ছিল স্বস্তির সুর, ‘টপ ফোর থেকে কোনো ব্যাটারকে এমন একটা ইনিংস খেলা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অবদান রাখতে পেরে খুশি আমি। শুরুতে এটি কঠিন উইকেট ছিল, আমরা আমাদের স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছিল। জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল বলব না।’
সাকিব অবশ্য দলকে জেতানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন বোলারদের, ‘বোলাররা নিখুঁত বোলিং করে চেপে ধরে রেখেছে তাদের ব্যাটারদের। রিশাদ ও মোস্তাফিজ নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে ম্যাচ বের করেছেন।’