ক্রীড়া ডেস্ক
জরিমানা, নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন রকম শাস্তি দিয়ে থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। ক্রিকেটার, দল কেউই শাস্তির আওতামুক্ত হচ্ছে না। ইংল্যান্ড আবার স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাওয়ায় ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার ওপর খেপেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।
ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টের পর তিনটি করে পয়েন্ট কাটা হয়েছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন ওভার কম করার কারণেই এমন কড়া শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে আইসিসি গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে সেটা জানিয়েছিল। স্টোকস বলেন,‘সময় এবং নিয়ম সবার জন্য একই। সেটা আপনি বিশ্বের যে প্রান্তেই খেলুন না কেন। খেলোয়াড়ের দিক থেকে আমি শুধু একাই নয় যে এটা নিয়ে মত দিয়েছি। আইসিসির সঙ্গে এই ব্যাপারে আমরা আরও কথা বলতে চাই।’
অধিনায়ককে ফিল্ডিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করতে হয় মাঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিল্ডিং পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। এমনকি বোলার, ফিল্ডাররাও চোটে পড়েন। এসব কারণে অনেকটা সময় ব্যয় হয়। স্টোকস বলেন, ‘অনেক ধরনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা বোলারের সঙ্গে কথাবার্তা অথবা ফিল্ড পরিবর্তনের ব্যাপার হতে পারে। অধিনায়ক হিসেবে আমি এগুলো অনেক বেশি পরিবর্তন করতে পছন্দ করি। এমনকি ওভারের ছয় বলে ফিল্ডিং আলাদা রকম হতে পারে। তবে সেটা বিবেচনা করা ঠিক না। সেখানে দ্রুত করার কথা বলে তো সব কিছু সমাধান করা যায় না। কারণ, সেখানে আমরা ম্যাচ খেলতে গেছি।’
স্টোকসের মতে এশিয়ার মাঠে পেসারদের চেয়ে স্পিনাররা অনেক বেশি বোলিং করেন বলে স্লো ওভার রেটের ঝামেলা কম। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘সবচেয়ে বড় হতাশার ব্যাপার আমার যেটা মনে হয় বিশ্বের কোথায় আপনি অবস্থান করছেন এবং কোন ধরনের ক্রিকেট খেলছেন, তার ওপর নির্ভর করে। এশিয়াতে ওভার রেটের কোনো ঝামেলাতে পড়তে হয় না। কারণ অনেক বেশি স্পিন খেলা হয়।’
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে আজ ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের জরিমানার খবরের শিরোনামের একটি ছবি পোস্ট করেছেন স্টোকস। সেখানে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসিকে খোঁচা মেরে কথা বলেছেন তিনি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক লিখেছেন, ‘বাহ্ আইসিসি। নির্ধারিত সময়ের ১০ ঘণ্টা আগেই তো ম্যাচ শেষ করেছি।’
পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের হার এখন ৪৭.৯২ শতাংশ। ২০২৩-২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় এখন কিউইরা অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে। ইংল্যান্ড অবস্থান করছে ৬ নম্বরে। তাদের সাফল্যের হার ৪২.৫০ শতাংশ। ক্রাইস্টচার্চে প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। ওয়েলিংটনে শুক্রবার শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড। দল দুটি শেষ টেস্ট খেলবে হ্যামিল্টনে। ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।