ভারত সফরে এসে সময়টা ভালোই যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মতো ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ নিউজিল্যান্ড জিতে নিয়েছে এই সফরেই। তবে সুসংবাদের মধ্যেও একটা বাজে খবর পেল কিউইরা।
১ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে শুরু হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট। ভারতকে যখন ধবলধোলাইয়ের হাতছানি, সেই মুহূর্তে কিউইরা জানতে পারল সিরিজের শেষ টেস্টেও খেলতে পারছেন না কেইন উইলিয়ামসন। কুঁচকির চোটে পড়া উইলিয়ামসন এখন পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার শেষ পর্যায়ে আছেন বলে আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টিড বলেন, ‘কেইনের লক্ষণ এখন প্রতিনিয়ত ভালো মনে হচ্ছে। তবে এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত না বিমান ধরার জন্য। আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারছে না। সব কিছু যখন ভালোর দিকে এগোচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে থাকাই তার জন্য সবচেয়ে ভালো এখন।’
যদি মুম্বাই টেস্ট ৫ দিনে গড়ায়, তাহলে শেষ হবে ৫ নভেম্বর। সেই সিরিজ শেষ হতে না হতেই ৯ নভেম্বর ডাম্বুলায় শুরু শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড সাদা বলের ক্রিকেট সিরিজ। লঙ্কা সফরে উইলিয়ামসন নেই ঠিকই। তবে কিউই এই ব্যাটারের ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য ফিট থাকা জরুরি মনে করছে নিউজিল্যান্ড। ২৮ নভেম্বর ক্রাইস্টচার্চে শুরু হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। নিউজিল্যান্ড কোচ স্টিড বলেন, ‘তার পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার শেষ অংশের দিকে ফোকাস করা উচিত। এতে করে সে ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য সুস্থ থাকতে পারে। ইংল্যান্ড সিরিজ এখনো এক মাস বাকি। তাই এখন সতর্ক অবস্থায় আছি। ক্রাইস্টচার্চে যাতে সে প্রথম টেস্টের জন্য প্রস্তুত হতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
শ্রীলঙ্কায় সেপ্টেম্বরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই লঙ্কা সফরেই কুঁচকির চোটে পড়েন উইলিয়ামসন। চোটগ্রস্ত উইলিয়ামসনকে নিয়েই ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করেছিল কিউইরা। প্রথমে বলা হয়েছিল সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁকে পাচ্ছে না ব্ল্যাকক্যাপসরা। পরবর্তীতে দ্বিতীয়, তৃতীয় টেস্ট কোনোটিতেই এই তারকা ব্যাটারকে পায়নি নিউজিল্যান্ড।
উইলিয়ামসনের অভাব অবশ্য ভারত সিরিজে অনুভব করছে না নিউজিল্যান্ড। বেঙ্গালুরুতে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জিতেছে। তাতে ভারতের মাঠে ৩৬ বছর পর টেস্ট জিতেছে কিউইরা। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন রাচীন রবীন্দ্র। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি রাচীন তুলে নিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসেই (১৩৪ রান)। দ্বিতীয় টেস্টে পুনের ঘূর্ণি উইকেটে ব্যাটাররা যেখানে খাবি খাচ্ছিলেন, সেখানেও ফিফটি করেন তিনি। এই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। দ্বিতীয় টেস্ট ১১৩ রানে জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তাতে ১২ বছর পর ভারত নিজেদের মাঠ টেস্ট সিরিজ হারের স্বাদ পেয়েছে।
৬২.৮২ শতাংশ সফলতার হার নিয়ে ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সফলতার হার ৬২.৫০। শ্রীলঙ্কা ৫৫.৫৬ শতাংশ সফলতার হার নিয়ে তিনে। চার ও পাঁচে থাকা নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতার হার ৫০ ও ৪৭.৬২। ফাইনালে ওঠার প্রতিযোগিতা দারুণ জমে উঠেছে এই মুহূর্তে।
আরও পড়ুন: