ক্রীড়া ডেস্ক
ডেভিন ওয়ার্নারের ওপর থেকে আজীবন নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এতে করে তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশের সিডনি থান্ডারকে নেতৃত্ব দিতে কোনো সমস্যা থাকছে না। তিন সদস্যের একটি স্বাধীন প্যানেল তাঁর মামলা বিবেচনা করে এই রায় দিয়েছে।
ওয়ার্নারের আচরণে সন্তষ্ট হয়েই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রিভিউ প্যানেল। এক বিবৃতিতে রিভিউ প্যানেল আজ বলেছে,‘তার উত্তরে অনুশোচনা ছিল। তিনি অনেক সম্মানের সঙ্গে কথা বলেছেন। যে বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেছেন, সেটা রিভিউ প্যানেলকে খুশি করেছে। এটা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত হয়েছে যে তিনি তার জায়গায় সৎ থেকে দায়ভার স্বীকার করেছেন। তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্য অনেক অনুতপ্ত। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে জনাব ওয়ার্নারের আচরণ অনেক চমৎকার ছিল। উদাহরণস্বরূপ তিনি আর কাউকে স্লেজিং করা বা কোনো দলকে খোঁচানোর চেষ্টা করবেন না।’
কুখ্যাত সেই স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে জরানোয় ওয়ার্নারের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে এসেছিল। ২০১৮ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল-টেম্পারিংয়ের ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার সহ অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। এই কাণ্ডের অন্যতম হোতা হিসেবে তখন বিবেচিত হয়েছিলেন তিনি।অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটারের ওপর তখন ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ও নেতৃত্ব থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রিভিউ প্যানেল উল্লেখ করেছে ৬ বছর আগের পুরোনো সেই ঘটনার কথা, ‘রিভিউ প্যানেল আরও সন্তুষ্ট হয়েছে। কারণ ২০১৮ সালে যে কাণ্ড ঘটিয়ে তিনি নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন, তেমন ধরনের কাজ ভবিষ্যতে আর করবেন না।’
নেতৃত্বের যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, এটার বিরুদ্ধে ওয়ার্নার আবেদন করেছিলেন। তবে ২০২২ সালে সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কারণ তদন্ত যেভাবে পরিচালনা করা হচ্ছিল, সেটার ব্যাপারে তিনি তাঁর ক্ষোভ ঝেরেছিলেন। সিএ’র প্রধান নির্বাহী নিক হকলি আজ এই ব্যাপারে বলেন,‘২০২২ সালে আমরা আচরণবিধিটা হালনাগাদ করেছি। সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জন্য স্বচ্ছ ও কঠোর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে দীর্ঘ মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করার সুযোগ পান। আমি খুব খুশি যে ডেভিড তার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারটি পর্যালোচনা করার বিষয়টি বেছে নিয়েছে। এই গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা সে ফিরে পেয়েছে।’
এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে যান। যদিও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফেরার দরজা তিনি খুলে রেখেছেন।
এমনকি তাঁর অবসর ভেঙে টেস্টে তাঁর ফেরার কথাও শোনা যাচ্ছে। সেটাও এমন সময়ে যখন দরজায় কড়া নাড়ছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। ২২ নভেম্বর পার্থে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।