টি-টোয়েন্টিতে ১২০ রানের লক্ষ্য আহামরি তেমন কিছু নয়। ভেন্যু যখন সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, যেখানে রানের বন্যা বয়ে যায়, সেখানে এমন লক্ষ্য তো নস্যি। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের খুলনার কাছে এমন লক্ষ্যই হয়ে ওঠে পাহাড়সমান। ঢাকা মহানগরের আগুনে বোলিংয়ে ঝলসে গেল খুলনার ব্যাটিং লাইনআপ।
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে সবশেষ মোস্তাফিজ খেলেছেন ১১ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে। শারজায় সেই ম্যাচের দেড় মাস পর আজ মাঠের ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ফেরার দিনে করেছেন বিবর্ণ বোলিং। ঢাকা মহানগরের কাছে ৩৮ রানে হেরে খুলনারও আর ফাইনালে ওঠা হলো না।
১২০ রানের লক্ষ্যে চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে খুলনা। ২ রানেই হারায় ৩ উইকেট। ইনিংসের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আজিজুল হাকিম তামিম ও ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়েছেন রাকিবুল হাসান। তামিম-ইমরুল দুজনেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
চতুর্থ উইকেটে ২০ রানের জুটি গড়েন বিজয় ও নুরুল হাসান সোহান। এটাই খুলনার ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৫৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারে ৮১ রানে অলআউট হয়ে যায় দলটি। মাসুম খান টুটুলকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে খুলনার ইনিংসের ইতি টানেন মোসাদ্দেক হাসান সৈকত।
খুলনার ইনিংস সর্বোচ্চ ২২ রান করেন সোহান। ১৮ বলের ইনিংসে ২ চার ও ১ ছক্কা মারেন খুলনার অধিনায়ক। ঢাকা মহানগরের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২.৪ ওভার বোলিং করে ১৩ রান খরচ করেছেন তিনি। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মারুফ মৃধা ও রাকিবুল। সিলেটে পরশু ফাইনালে মুখোমুখি হবে রংপুর ও ঢাকা মহানগর।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা মহানগর অধিনায়ক নাঈম শেখ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে করেছে ১১৯ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন নাঈম। ৫৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। খুলনার মেহেদী হাসান রানা, টুটুল, মেহেদী হাসান রানা নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।