বাংলাদেশ ম্যাচে হার্দিক পান্ডিয়ার চোটে মোহাম্মদ শামি বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিলেন চার ম্যাচ পর। মাত্র ৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে সেই শামি এখন ভারতকে ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক।
মাত্র ৬ ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডও এখন শামির দখলে। আগুনে বোলিংয়ে সেমিফাইনালে ৭ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছেন একাই। ভারতীয় পেসারের এই গর্বে শামিল তাঁর রাজ্য উত্তর প্রদেশ সরকারও।
কৈশোরে রোজ ২৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে জন্মশহর আমোরাহ থেকে মোরাদাবাদের সোনাকপুরে গিয়ে গুরু বদরুদ্দিন সিদ্দিকীর কাছে ক্রিকেট শিখেছেন ২৭ বছর বয়সী শামি। এখন শামির গ্রাম আমরো জেলার সাহসপুর আলিনগরে একটি স্টেডিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত উত্তর প্রদেশ সরকারের।
আমোরা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কুমার তিয়াগির বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর, শামির গ্রামে ১ হেক্টর জমির ওপর স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাজ্য সরকারের ২০টি স্টেডিয়াম নির্মান পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শামির গ্রামে এই জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে। ‘শামি বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন, তাই তাঁর জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই বড় পুরস্কার’, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এমনটাই জানিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ কুমার তিয়াগি।
শুধু খেলার মাঠই নয়, স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস টার্ফ, জিমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থাকবে বলেও জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। নির্মাণে ৫ কোটি রুপি খরচ হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিকল্পনা পাস হলেই শুরু হবে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ যা উদ্বোধন করবে শামির পরিবার।
জন্ম-বেড়ে ওঠা উত্তর প্রদেশে হলেও শামি জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলা রাজ্যের হয়ে খেলে। উত্তর প্রদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রাথমিক দলে ব্যর্থ হলেও ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের এক কর্মকর্তার নজর কেড়েছিলেন শামি। ২০১০-১১ মৌসুমের রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার হয়ে অভিষেক হয় শামির।