ক্রীড়া ডেস্ক
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে গতকালই ম্যাচটি খেলার কথা ছিল তামিম ইকবালদের। তবে সাভারের সড়ক দুর্ঘটনায় গতকাল পারটেক্সের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচটি হয়নি। তাদের মতো গতকাল হয়নি শেখ জামাল ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচটিও। দুটি ম্যাচই হয়েছে আজ।
বিকেএসপির ৪ নম্বরের মাঠে আজ পারটেক্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ছন্দটা ধরে রেখেছেন তামিম। এবারের ডিপিএলে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে প্রাইম ব্যাংকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন তিনি। ফিফটি হাঁকিয়ে জয়ের ম্যাচে অবশ্য অবদান রেখেছেন তামিমের সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুনও।
পারটেক্সের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে প্রাইম। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন তামিম। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৯২। সেখানে থেকে চতুর্থ উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন তামিম–মিঠুন। তবে দুজনের কেউই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।
এবারের ডিপিএলে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তামিম। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ চারে। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে এটি তাঁর চতুর্থ ফিফটি। বিপরীতে ৫১ রানে ফেরেন মিঠুন। ৬৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২ ছক্কা ও ৪ চারে। জয়ের শেষ কাজটুকু সেরেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটার অলক কপালি (১৫) এবং আশিকুর জামান (১০)।
প্রাইমের জয়ের দিন হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে শেখ জামালও। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৬০ রানের জয় পেয়েছে তারা। আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৪৭ রান তোলে শেখ জামাল। এই লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ১৮৭ রানে অলআউট হয় রূপগঞ্জ। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন রূপগঞ্জের আমিনুল ইসলাম। আর শেষ দিকে ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে ব্যবধান কিছুটা কমান পেসার মেহেদি হাসান রানা। ৩টি করে উইকেট নিয়ে শেখ জামালের সেরা বোলার টিপু সুলতান ও সাইফ হাসান।
দল জয় পেলেও ৭ রানে দুঃখ থেকে গেছে শেখ জামালের ওপেনার সৈকত আলির। ৯৩ রানে আউট হওয়ায় লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তাঁর। ১০৬ বলের ইনিংসটি ৮ চার ও ৪ ছক্কায় সাজিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দলের আড়াই শ ছুঁই ছুঁই স্কোরে দুটি করে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলি এবং জিয়াউর রহমান। রূপগঞ্জের হয়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার আল আমিন হোসেন।