ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৪ সালটা হার্দিক পান্ডিয়ার জন্য কাটছে রোলার কোস্টারের মতো। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক হওয়ার পর দর্শকদের বিদ্রুপ তো ছিলই, চলছিল লাগাতার সমালোচনাও। সবকিছুর জবাব দিতে বেছে নিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চ। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন ।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতের সহকারী হিসেবে যান পান্ডিয়া। যে সময়ে জ্বলে ওঠার প্রয়োজন, তখনই কাজটা করে দিয়েছেন পান্ডিয়া। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে গত রাতে শেষ ৪ ওভারে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ২৬ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রোটিয়াদের শিরোপা যখন হাতের মুঠোয়, তখন হেনরিখ ক্লাসেনকে পান্ডিয়া ফেরালে ম্যাচের মোড় ঘুরতে থাকে। শেষ ওভারে স্নায়ুচাপ সামলে ১৬ রান দারুণভাবে ডিফেন্ড করেছেন পান্ডিয়া। ফিরিয়েছেন ডেভিড মিলার ও কাগিসো রাবাদাকে। ৭ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিশ্চিত করার পর কাঁদলেন পান্ডিয়া। অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে জরিয়ে ধরেছেন। ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসকে পান্ডিয়া বলেন, ‘আমার জন্য খুবই বিশেষ কিছু। গত ছয় মাস কীভাবে কেটেছে, তা শুধু আমিই জানি। একটা কথাও বলতে পারিনি। জানতাম, যদি কঠোর পরিশ্রম করি, তাহলে অবশ্যই সফল হব। সুযোগ পেয়ে উপলক্ষটা আরও দারুণভাবে রাঙালাম।’
প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকা জিততে পারেনি। তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের গেঁরো খুলল ১৭ বছর পর। একই সঙ্গে ১১ বছরের অপেক্ষাও ফুরিয়েছে এশিয়ার দলটির। ২০১৩-এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর আইসিসি ইভেন্টে ষষ্ঠ ফাইনালে এসে বাজিমাত করল ভারত। ম্যাচ শেষে পান্ডিয়া বলেন, ‘এটা অনেক কিছু। খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। কঠোর পরিশ্রম করেছি। কিছু কিছু জিনিস পক্ষে আসেনি। তবে আজ (গত রাতে) আমরা যা পেয়েছি তা ছিল পুরো জাতির চাওয়া।’