তাসকিন আহমেদ উড়তে চাইলেন। উড়লেনও। উড়তে উড়তেই মাঠে শুয়ে পড়লেন। ওয়াহাব রিয়াজের স্টাম্প উপড়ে দিয়ে ঢাকা ডমিনেটরসের জয়োচ্ছ্বাস নিয়ে ছুটলেন তাসকিন। এই ম্যাচটা যে ২৪ রানের জয়ে শেষ হবে, ঢাকাও হয়তো বিশ্বাস করতে পারেনি।
বিশ্বাস করার মতো রানও যে ছিল না স্কোরবোর্ডে। খুলনা টাইগার্সের লক্ষ্যটাই তো ছিল ১০৯ রান। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে খুলনা। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল চলেছে ইনিংসের শেষ অবধি। এত কম রানের লক্ষ্য দিয়ে বিপিএলে জেতার রেকর্ড আছে আর একটি। ২০১৩ মৌসুমে চট্টগ্রাম কিংসকে ১০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে ২ রানে ম্যাচ জিতেছিল দুরন্ত রাজশাহী।
ঢাকার মতো একই লক্ষ্য দিয়ে ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসকে ১ রানে হারিয়েছিল সিলেট সুপারস্টারস। খুলনার বিপর্যয়ের শুরু শাই হোপকে দিয়ে। তাসকিন আহমেদের বলে ৫ রানে বোল্ড হয়েছেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ওয়াহাবকে আউট করে যেটার শেষ ও করেছেন তাসকিনই।
টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেন খুলনার অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের ৫৭ রানের ইনিংস সত্ত্বেও দুই বল আগে ঢাকা ডমিনেটরস অলআউট ১০৮ রানে। রান করা ভুলে যাওয়া সৌম্য শেষ পর্যন্ত রানের দেখা পেলেন বটে, তবে সেটা দলের কাজে এল না। ঢাকার দুই স্পিনার নাহিদুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদের বিপক্ষে রান করতে বেশ হিমশিমই খেয়েছেন খুলনার ব্যাটাররা। দুজন মিলে ৭ উইকেট নিয়েছেন।
৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নাসুমের শিকার ৩ উইকেট, ৫ রানে নাহিদুলের উইকেট ৪টি। এবারের বিপিএলের এটা সেরা বোলিং ফিগার। বিপিএলের ইতিহাসে নাহিদুলের চেয়ে কম রান দেওয়ার নজির আর মাত্র দুটি। এর একটিতে আবার জড়িয়ে রয়েছে নাহিদুলেরই নাম। ২০১৫ সালে সিলেট সুপারস্টারসের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। নাহিদুল এই রেকর্ডে ভাগ বসান গত মৌসুমে, ৫ রান নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরাজিত দলে থাকতে হলো তাঁদের।