বাংলাদেশের ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলে খেললেও তানজিদ হাসান তামিম অনেক দিনই ছিলেন আলোচনার বাইরে। তিন চার মাস আগেও হয়তো জাতীয় দলে ডাক পাবার কথা কল্পনা করেননি তিনি। সেই তামিম এবার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের এশিয়া কাপের দলে। নতুন তামিমের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল মনে করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
এবারের ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপ খেলেই মূলত আলোচনায় নতুন তামিম। শ্রীলঙ্কায় হওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল সেমিফাইনালে বাদ পড়লেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। ৪ ম্যাচে ৪৪.৭৫ গড়ে করেছেন ১৭৯ রান। তিনটি ফিফটি করেছেন ও রান করেছেন ১১৬.৯৯ স্ট্রাইক রেটে। ওয়ানডেতে কোনো ওপেনারের এমন স্ট্রাইকরেট আকর্ষণীয়। তিনি যখন ডাক পেয়েছেন, তখন বিশ্বকাপের আগে আর দুই মাসও বাকি নেই। এশিয়া কাপের পরই বাংলাদেশে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আসবে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে সর্বোচ্চ ৪-৫ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতে পারেন নতুন তামিম। যার সঙ্গে অনেকটা মেলে ২০০৭ সালের তামিম ইকবালের গল্প। ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলার আগে তামিম ৪ ওয়ানডে খেলেছেন।
সেই তামিম ইকবাল খেলছেন না ২০২৩ এশিয়া কাপে। এবারের এশিয়া কাপে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিং করতে পারেন নাঈম শেখ। যদিও নাঈম সুযোগ পেয়ে এখনো পর্যন্ত ওয়ানডেতে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। নতুন তামিমের কথা বলতে গিয়ে আজ সুজন মিরপুরে সাংবাদিকদের সিনিয়র তামিমের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে নতুন তামিমের সুযোগ দেখছেন, ‘অবশ্যই সুযোগ আছে (এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে)। ফার্স্ট চয়েস ওপেনার হতে পারে সে। লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করতে পারে। এমন ওপেনারদের থেকে আমরা দারুণ সূচনা আশা করি। সিনিয়র তামিম যেমন ব্যাটিং করত, তানজিম তামিমের খেলার ধরনও তেমন। আমি চাই, সে (তানজিদ তামিম) ভয়ডরহীন ক্রিকেটটা খেলুক। তার লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি।’
ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের বিকল্প হিসেবে কাকে চান-এই প্রশ্নে গত শুক্রবার আজকের পত্রিকার ফেসবুক পেজে জরিপ চালানো হয়েছিল। জরিপে ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। ঠিক তার পরের দিনই তামিম এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের বড় চমক হয়ে এসেছেন। তানজিদ তামিম মনেপ্রাণে তামিম ইকবালকেই আদর্শ মানেন। আজকের পত্রিকাকে কদিন আগে যেমন বলছিলেন, ‘আমার আদর্শ তামিম ভাই। ছোট থেকে তাঁর অনেক খেলা দেখেছি।’ দুজনই বাঁহাতি, ব্যাটিং পজিশনও একই।