ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা তো ডেভিড ওয়ার্নার আগেই দিয়েছেন। ওয়ার্নার এবার ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা জানিয়েছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের এই সংস্করণ ছাড়ার ঘোষণাও কিছুটা অদ্ভুতুরে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) পরশু শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান তৃতীয় টেস্ট। এই টেস্টই ওয়ার্নারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। নতুন বছরের টেস্টের আগে আজ এসসিজিতে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ওয়ানডে আর না খেলার কথা জানিয়েছেন ওয়ার্নার। এমনটা (ওয়ানডে থেকে অবসর) ২০২৩ বিশ্বকাপেই বলেছিলেন বলে তাঁর ভাষ্য, ‘নিশ্চিতভাবে আমি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসর নিচ্ছি। বিশ্বকাপেই এমন কিছু আমি বলেছিলাম। ভারতের মাঠে এটা (বিশ্বকাপ) জয় আমার কাছে অনেক বড় অর্জন। এ কারণে আমি আজ তাই সংস্করণগুলো থেকে অবসর নিচ্ছি। তাতে বিশ্বের অন্যান্য লিগেও আমি খেলতে পারব ’
গত বছরের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল। যা আইসিসির সর্বশেষ কোনো ওয়ানডে ইভেন্ট। এরপর ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে আইসিসি ইভেন্টের ওয়ানডে সংস্করণের পরবর্তী কোনো টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। ওয়ানডে না খেলার ঘোষণা দিলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজনে খেলবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি রয়েছে। যদি দুই বছরে ভালো ক্রিকেট খেলি ও তাদের কাউকে যদি দরকার হয়, তাহলে আমি আছি।’
২০০৯ এর ১৮ জানুয়ারি হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৭ বলে করেন ৫ রান। এরপর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ম্যাচটা হয়েছে সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। প্রায় ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১৬১ ওয়ানডে খেলেন ওয়ার্নার। ৪৫.৩০ গড়ে করেন ৬৯৩২ রান। ২২ সেঞ্চুরির পাশাপাশি করেন ৩৩ ফিফটি। ৬ সেঞ্চুরি করে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ওয়ার্নারের।