সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে দুর্দান্তই খেলছেন তাসকিন। তারপরও তিনি কি ভাবতে পেরেছিলেন বিপিএলে আজ ৭ উইকেট পেয়ে যাবেন?
‘না’ বললে ভুলই হবে হয়তো। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মজার এক ঘটনা শোনালেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইক বোলার। তাসকিনের ভাষায়, ‘আমাদের টিমের মেসেয়ার আনোয়ার বলছিল যে, ভাইয়া তুমি আজ ৪ উইকেট পাবে। (আমি বলেছি) চাচ্ছিস যেহেতু আল্লাহর কাছে বেশিই চা, ৮ উইকেটও তো হতে পারে। ৭ উইকেট পেয়ে গেছি আজকে। আলহামদুলিল্লাহ।’
পরে তাসকিন অবশ্য বললেন, ‘আসলে না ভাবলে হতো না।’ তো এই ৭ উইকেট পাওয়ার রহস্য কী? তাসকিনের উত্তর, ‘উইকেটে একটু ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে। আমি খুশি যে, বোলিংয়ে যেটা করতে চাচ্ছি, সেটা করতে পারছি। আসলে ভালো বোলিং করতে পারাটাই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট তো অনেক সময় দুটো কম হয়, দুটো বেশি হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, ৭ উইকেট পেয়েছি। আমার জন্য এটা বড় পাওয়া।’
তাসকিন ৭ উইকেট নিয়েছেন ১৯ রান দিয়ে। যা বিপিএলের সেরা বোলিং। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদরুস (৭ /৭) ও নেদারল্যান্ডসের কলিন অ্যাকারম্যানের (৭ / ১৭) পর এটি তৃতীয় সেরা বোলিংও। তাসকিনের এই বোলিংয়ের আগে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এবারের বিপিএলে নতুন লুকের আবির্ভূত হয়েছেন তাসকিন। চুলের ছাঁটে নতুনত্ব। গোঁফও রেখেছেন। এ সবের সঙ্গে কী পারফরম্যান্সের যোগসূত্র আছে? তাসকিনের উত্তর, ‘এ সব আসলে...একদিন তো আমি মাইর খাইতেই পারি খাইলে কী এটার জন্য হবে? এমন কিছু না। এটা জাস্ট এমনিই। আমার বাবার ছোটকালের একটা ছবি দেখতে ছিলাম, দেখলাম মোচ-টোচ রাখা, তাই ভাবলাম এবার আমি রেখে দেখি কিছুদিন। তবে আমি কুসংস্কার তেমন বিশ্বাসও করি না।’
নিজের অর্জনে খুশি তাসকিন। তাসকিনের খুশির আরও কারণ আছে। সেটি কী? তাসকিনের ভাষায়, ‘দিন শেষে আমি যখন ভালো করি বা উইকেট পাই আমার ছেলে আর আমার বাবা অনেক খুশি হন। অবশ্য ওদের সমর্থন একটা প্রেরণা। কারণ যেদিন আমি ভালো বোলিং করতে পারি না সেদিন তাসফিন (ছেলে) অনেক মন খারাপ করে। আমি নিশ্চিত আজকে ও অনেক খুশি।’ আজকের ৭ উইকেটে সাফল্য ছেলেকেই উৎসর্গ করেছেন তাসকিন, ‘এটা তাসফিনের জন্য।’