নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এই বছরের জুলাইয়ে নিজেদের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) চোটে পড়েন ইবাদত হোসেন। বোলিং অসমাপ্ত রেখেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। আফগানদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে যান তিনি।
সেই সময় প্রায় মাসখানেক পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নতি হয়নি ইবাদতের। ফলে এশিয়া কাপের পর বিশ্বকাপ থেকেও ছিটকে যান এই পেসার। শেষ পর্যন্ত লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার করাতে হলো তাঁকে। তাতেই শেষ হয় তাঁর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।
তবে অস্ত্রোপচারের পরও দ্রুত মাঠে ফেরা হচ্ছে না ইবাদতের। বরং আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে তাঁর। আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, আগামী বছর আগস্ট-সেপ্টেম্বরের আগে ফিরতে পারবেন না ইবাদত। আগামী বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তাঁকে বাংলাদেশ দলে না দেখার সম্ভাবনাই বেশি।
ইবাদতের ফেরা নিয়ে নান্নু বলেছেন, ‘ইবাদতের মনে হয় পরবর্তী মৌসুম থেকে শুরুর সম্ভাবনা আছে। পরবর্তী মৌসুম মানে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে, সেটা দিয়ে হয়তো ফিরবে। আমাদের কাছে এমন একটা হালনাগাদ তথ্য আছে। ও যে পুনর্বাসনের মধ্যে আছে, এর আগে ফেরা সম্ভব নয়। চূড়ান্ত আপডেট মেডিকেল থেকে না দিলে বলতে পারব না।’
এর আগে ইবাদতকে দেখা যাবে না আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল), মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও এপ্রিলে জিম্বাবুয়ে সিরিজেও। এই বছরের আগস্টে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ইবাদতের। চোটে পড়ার আগের এক বছরে বাংলাদেশ দলের সেরা বোলার ছিলেন ইবাদত। কিন্তু ছিটকে গেলেন এক বছরের বেশি সময়ের জন্য।